ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চালু হলো চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমান বন্দর

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

maxresdefaultঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দররের কর্মকান্ড রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হলেও চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমান বন্দরের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি স্থাপনার তেমন বড় ধরনের ক্ষতি না হওয়ায় খুব সহসাই পুরুদমে চালু করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান দুটি কর্তৃপক্ষ।

ঘুর্ণিঝড়ের রেশ কেটে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় শনিবার রাত থেকে বিমান বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এলেও রবিবার সকাল থেকে সকল অপারেশন শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির জানান, ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে শনিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। দুপুরে জোয়ারে রানওয়ে প্লাবিত হলেও বিমানবন্দরের কোন ক্ষতি হয়নি। সব যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক মতো সচল রয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় রাতে বিমানবন্দর চালু না করে আজ রবিবার সকাল থেকে চালু করা হয়েছে। সকাল থেকে সকল বিমান নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী উঠানামা শুরু করেছে। কয়েকটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ছেড়ে গেছে।

এদিকে দেশের আমদানী রপ্তানীর প্রধান প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কতৃপক্ষ। শনিবার রাত ১০টার পর থেকে বন্দর থেকে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে জেটিতে সব ধরনের কার্যক্রম রাতে বন্ধ থাকলেও আজ থেকে পুরোদমে চালু হয়েছে।

পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষামান ১৯টি জাহাজের মধ্যে ১২টি জাহাজ সকালে জোয়ারের সময় বন্দর জেটিতে প্রবেশ করছে। এছাড়া রাতের জোয়ারে আরও তিনটি জাহাজ জেটিতে ভেড়ানো বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো.জাফর আলম বাংলাপ্রেস.কম.বিডিকে জানান, সকালে জোয়ারে ১২টি জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর পর পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু হয়েছে।

port_pogruzkaতিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় দেয়া হয়। জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন্দর জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

বন্দরের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা বাংলাপ্রেস.কম.বিডিকে জানান, সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার রাত আটটার মধ্যে বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস নিয়েছেন আমদানিকারকেরা। পণ্য খালাসের সব প্রক্রিয়া শেষ করেও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় অন্তত ২০ থেকে ২৫টি কনটেইনার খালাস নিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। কার্যত এসব গুটিকয়েক কনটেইনার পণ্য বন্দর চত্বর থেকে খালাস নিতে পারবেন আমদানিকারকরা।

বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বলেন, গতকালের ঝড়ের তোড়ে বন্দরের অভ্যন্তরে চার নম্বর গেটের পাশে গাড়ির শেডে একটি গাছ ভেঙে পড়ে। এই সময় আমদানি করা হুন্দাই ব্রান্ডের একটি কারের পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়। প্রচন্ড বাতাসে এনসিটি এলাকায় রাখা পাঁচটি খালি কন্টেনার পড়ে গেছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এছাড়া ৫, ৬, ৯, ১২ ও ১৩ নম্বর শেডে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। ঝড়ো বাসাতে বিভিন্ন শেডের টিন উড়ে গেছে। ফলে শেডের ভেতরে থাকা পণ্যগুলো ভিজে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব ক্ষতি উল্লেখযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print