
স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষ্যে নগর ছাত্রদল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার আর নব্য স্বৈরাচার মিলেমিশে আজ একাকার হয়ে গেছে। আশির দশকের ধিকৃত স্বৈরাচার এরশাদ ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়।
যে স্বপ্ন নিয়ে সেদিন ছাত্রজনতা মিলে তীব্র গণআন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটায় তাদের সে স্বপ্ন আজ কেবলই স্বপ্ন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত সকল শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে খুনী এরশাদের সাথে আতাত করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের জনগণের সম্মুখে নব্য স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ দুই স্বৈরাচার মিলে আজ জনগণের নুন্যতম মৌলিক অধিকারটুকুও হরণ করে নিয়েছে। জনগণের উপর নেমে এসেছে নির্যাতনের ষ্ট্রিম রোলার।
মঙ্গলবার বিকালে নগরীর নুর আহমদ সড়কে অবস্থিত চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে আয়োজিত “লুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্রদের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশের গণতন্ত্র আজ লুণ্ঠিত, মানবতা বিপন্ন, ভোটাধিকার অবরুদ্ধ, জনগণ আজ একদলীয় স্বৈরশাসনের নির্যাতন-নিপীড়নে পিষ্ট। আইনের শাসন আজ নির্বাসিত, তাই জনগণ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে আমাদেরকে আবারও অতীতের ন্যায় দলমত নির্বিশেষে রাজপথে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং এই একদলীয় স্বৈরশাসকের কবল থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হবে, না হয় ইতিহাস আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।
নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মুহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় স্বৈরাচার পতন দিবস আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা দৈনিক আমার দেশ এর ব্যুরো প্রধান জাহেদুল করিম কচি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব বাংলাদেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছিল স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটানোর মাধ্যমে। সেদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি ও মনোবল ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও সাধারণ ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ। তাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতাকর্মীদেরকেও আবারও দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই দুই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈনুদ্দীন মুহাম্মদ শহীদ, যুগ্ম সম্পাদক জালাল উদ্দিন সোহেল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য জায়েদ বিন রশিদ, শেখ রাসেল, নগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গুলজার হোসেন, চকবাজার থানা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম শিপু প্রমুখ।