
ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রানালয়ের (টিআর) বিশেষ বরাদ্ধের ৪৬টি প্রকল্পের কাজ না করেই ফটিকছড়ির ২নং দাঁতমারা ইউপিতে আত্মসাৎ করার সংবাদ প্রকাশের পর তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম অভিযোগ তদন্তের জন্য ফটিকছড়ির ইউএনও কার্যালয়ে ও ঘটনাস্থল দাঁতমারায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
তিনি প্রথমে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হলে অভিযোগের বাদী দুই ইউপি সদস্য, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জানে আলম, সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে মুখোমুখি আলোচনা করেন।
এরপর তিনি দাঁতমারা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে প্রকল্প গুলো সরেজমিনে তদন্ত করতে যান। এ সময় ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে তদন্ত চলাকালীন প্রকল্পের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ইউপি সদস্য সুব্রত কুমার দে ও শাহিদুল আলম নাহিদের উপর হামলা চালিয়েছে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের লোকজন। এসময় মেম্বার সুব্রত দে,শাহিদুল আলম নাহিদ ও জুয়েল আহত হন। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগকারী অপর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তদন্ত কর্মকর্তা (স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক) উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্প গুলোতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। যে পরিমান কাজ হয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে ও অভিযোগ হওয়ার পরে। তৎমধ্যে ৫টি প্রকল্প সম্পূর্ণ ভূয়া। এসব নামের কোন প্রতিষ্ঠান দাঁতমারা ইউনিয়নে নেই। এই ভূয়া প্রকল্প ৫টির টাকা ইতোমধ্যে সরকারী কোষাগারে ফেরত দিয়েছে। প্রকল্প গুলো যারা দেখভাল করেছে তাদের উদ্দেশ্য নিশ্চই খারাপ ছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষনাবেক্ষন (টিআর) কর্মসুচীর আওতায় ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নে ৪৬ প্রকল্পের ২৩টি হচ্ছে ইউনিয়নে বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প। এবাবৎ বাবদ ৭৯ হাজার ৭৮২টাকা করে প্রত্যেকটির জন্য বরাদ্দ প্রদান করে। এ ছাড়া বাকী প্রকল্প গুলো ফোরকানিয়া মাদরাসা, রাস্তা, ব্রিজ বা কবরস্থানের উন্নয়ন। প্রকল্প গুলো ২৮ জুন ২০১৬ এর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে মাস্টাররুল জমা দেওয়া হলেও মাঠ পর্যায়েকোন কাজ না থাকায় দাঁতমারা ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, ইউপি সচিব এমরান হোসেনকে অভিযুক্ত করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছে দুই ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ও সুব্রত দাশ।
ফটিকছড়িতে কাজ না করেই সরকারী ২৩ প্রকল্পের ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ