ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

হাইকোর্টে নির্দেশ অমান্য করে আউটার স্টেডিয়াম পাশ থেকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ, ৩ কোটি টাকার ক্ষতি

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নগরীর কাজীর দেউরির আউটার স্টেডিয়াম রক্ষার নামে বৈধভাবে লীজ দেয়া বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। এতে ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা মং নেতৃত্বে এসব স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়ার সময় মালামাল বের করার সময় পর্যন্ত দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। এছাড়া উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রীট করা হলে আদালত কর্তৃক যে কোন ধরণের উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভ্রাম্যমান আদালত হাইকোর্টের সেই নির্দেশনাও অমান্য করেছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।

অভিযানকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা মং বলেন, চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি এবং ক্রীড়াপ্রেমী সুধীজনের সমর্থনে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দখলদারমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনাগুলো ডি-মার্ক করা হয়েছে। পরে তাদের দুইবার সময় দেওয়া হয় যাতে তারা তাদের স্থাপনাগুলো নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেই সময়ের মধ্যে সরে যায়নি। তাই আজকের এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এদিকে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে চসিকের প্রকল্প অবৈধভাবে উচ্ছেদের প্রতিবাদে কাজীর দেউড়ি এলাকায় মানববন্ধন পালন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা।

এর আগে তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বরে রিটেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিকিউরিটি মানি জমা দিয়ে মাস্টার প্ল্যানের আওতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে কাজীর দেউড়ি এলাকায় এই সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের আওতায় জায়গাটি ৫ বছরের জন্য লিজ নেন ফিউসন ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ডিজাইনার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর লায়ন এম এ হোসেন বাদল। এর মধ্যেই করোনাকালেই চলে যায় ২ বছর। এ সময়ে সব ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।

.

হঠাৎ নোটিশ দিয়ে এই লিজ নেওয়া জায়গায় গড়ে তোলা গার্ডেন রেস্টুরেন্ট ‘বাগান বিলাস’ উচ্ছেদ করার কথা জানায় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এর জন্য আগামী ৩১ মার্চ তারিখের মধ্যে এই স্থাপনায় থাকা মালামাল সরিয়ে নিতে লিখিতভাবে জানায় সিজেকেএস। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে আজ ১৯ মার্চ, অবৈধভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

সংবাদ সম্মেলন লীজ গ্রহীতা এম এ হোসেন বাদল বলেন, পুরো প্রকল্পের ওপর উচ্চ আদালতে রিট করলে মহামান্য হাইকোর্ট গত ১৬ মার্চ ওই স্থানে ইনজেকশন জারি করেন। ইনজেকশনের কাগজাদি আমরা রিসিভ করতে গেলে জেলা প্রশাসন কার্যালয় গ্রহণ করেননি। এরপর উচ্চ আদালতের ইনজেকশনের কাগজাদি জেলা প্রশাসনের ইমেল এবং হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়।

তিনি বলেন, তবে সিজেকেএস আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত মালামাল সরিয়ে উচ্ছেদ করার সময় নির্ধারণ করলেও হঠাৎ আজ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং বাগান বিলাস সহ পুরো প্রকল্পে হাজির হয়ে উচ্ছেদ অভিযানের তোড়জোড় শুরু করেন। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে জানান, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) জায়গা উদ্ধারের জন্যই তাদের এই উচ্ছেদ অভিযান। তখন আমি ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাই, সিজেকেএসের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে আমাদের আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আমি এ সংক্রান্ত মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়টি তুলে ধরি এবং ১৬ মার্চের মহামান্য হাইকোর্টের ইনজেকশনের আদেশটি দেখাই।

কিন্তু জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং তখন আমাকে বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে এসেছি, আপনারা উনাকে জানান।’ এ সময় মহামান্য হাইকোর্টের ইনজেকশনের বিষয়টি এক সাংবাদিক তুলে ধরলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, বেশি কথা বললে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

লায়ন বাদল আরো বলেন, এরপর আমি মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়ে ডিসি অফিসে ছুটে যাই। তনে উনি কোন সদুত্তর দেননি। এদিকে তড়িঘড়ি করে আমার স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়ে যায়। একে একে গুড়িয়ে দেওয়া হয় তিল তিল করে গড়ে তোলা স্থাপনা। প্রকল্পের আওতায় দুটি প্রতিবন্ধীদের জন্য দোকান ও একটি পাবলিক টয়লেট ছিল। সেগুলোও গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। মুহূর্তেই কেড়ে নেওয়া হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ১৫২ জন কর্মচারীর মুখের ভাত।

তিনি আরো বলেন, গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগদিতে আসা কর্মী জহিরের পরিবারকে বিনামূল্যে একটি নার্সারি করে দিয়েছিলাম, সেটিও গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা স্বাধীন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করার নেপথ্যের কারণ খতিয়ে দেখার দাবি জানায়। একইসঙ্গে বিশাল টাকার অর্থের ক্ষতি ও ১৫২ জন কর্মচারীর বেকার হয়ে যাওয়ার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানানো হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print