
চট্টগ্রামে স্থায়ী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও একটি আন্তর্জাতিকমানের বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টার করার জন্য নগরের কাট্টলী ও সী-বিচ এলাকায় ভূমি বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
তিনি চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি ট্যুরিজম সেক্টরে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভুটান, থাইল্যান্ড, ভারত, নেপালের পর্যটক আকর্ষণ করতে চিটাগাং চেম্বারের উদ্যোগে একটি ট্যুরিজম ফেয়ার আয়োজন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রবিবার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (সিআইটিএফ) অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সনদ ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভুমি মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বুধবার (২২ মার্চ) পর্যন্ত মেলা চলবে।
নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এমপি। চেম্বার পরিচালক ও সিআইটিএফ-২০২৩ কমিটির চেয়ারম্যান একেএম আক্তার হোসেন ও কো-চেয়ারম্যান মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন বক্তব্য দেন। এ সময় চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এসএম তাহসিন জোনায়েদ ও তানভীর মোস্তফা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অনেকেই মনে করেছিল বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে। কিন্তু বাংলাদেশ তা হয়নি। বাংলাদেশের অবস্থান শ্রীলংকা থেকে অনেক শক্তিশালী। করোনা অতিমারি, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ এবং ডলার সংকটের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপর্যয় হলেও আমাদের খাদ্য উৎপাদন ঠিক থাকায় সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।
চট্টগ্রামের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রসঙ্গে ভুমি মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে নিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, আনোয়ারায় অর্থনৈতিক জোন, লালখান বাজার থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে নান্দনিক রূপ পেয়েছে নদী-পাহাড় ও সমুদ্রবেষ্টিত চট্টগ্রাম।
তিনি বলেন, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক কলহ তৈরি হচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনে আমরা ভূমি বণ্টননামা কার্যকর করতে যাচ্ছি। এ ছাড়া ল্যান্ড ক্রাইম ডিসপোট কমানোর জন্য আমরা আইন প্রণয়নও করতে যাচ্ছি।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এমপি বলেন, গত ১৪ বছরে দেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকার দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র টানেলের মাধ্যমে নদীর দুই পাড়ে শহর গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছে। জাপানের সঙ্গে চিটাগাং চেম্বার যে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে তাকে কাজে লাগাতে হবে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কারিগরি ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ে অংশীদারত্বের মাধ্যমে কোরিয়া, চীন ও তাইওয়ানের মতো অনেক দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছে জাপান। এখন বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য একটি অন্যতম স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাপান। তাই আমাদেরকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।