
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সরকার নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণে ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। গত ৯ জুলাই রবিবার দুপুরে ভৈরব পৌর শহরের ঔষধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় গ্রীণ ফার্মেসী থেকে সরকার নিষিদ্ধ ঔষধ জব্দ করে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন, ঔষধ প্রশাসনের কিশোরগঞ্জ সহকারী পরিচালক (এডি) মো. সাখাওয়াত হোসেন রাজু।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ৬ জুলাই জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের উৎপাদিত ন্যাপ্রোক্সেন প্লাস ৫০০+২০ ট্যাবলেটের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মান বহির্ভূত ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করায় সাময়িকভাবে এই ঔষধটি সংরক্ষণ ও বিপণন নিষিদ্ধ করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারী করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।
রবিবার দুপুরে ভৈরব পৌর শহরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
অভিযানে পৌর শহরের ভৈরব বাজারের চন্দন পালের মালিকানাধীন গ্রীণ ফার্মেসী থেকে ১৭ কার্টুন সরকার নিষিদ্ধ ঔষধ জব্দ করা হয়। অভিযানে জব্দ হওয়া ১৭ কার্টুনে ৩ হাজার ৭৪০ বক্স ঔষধের ক্রয় মূল্য ৬৭ হাজার টাকা বলে জানান তিনি। তবে পাইকারি হিসেবে ১৯৫ টাকা দরে প্রতি বক্স ঔষধ বিক্রি করে আসছেন। সে হিসেবে ঔষধের বিক্রয় মূল্য ৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৩শ টাকা। সব মিলিয়ে গ্রীণ ফার্মেসী থেকে সরকার নিষিদ্ধ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ঔষধ জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত ঔষধ উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে এনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, নিম্নমানের ও ভেজাল ঔষধ মানুষের জীবন ধ্বংস করছে। তাই এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।