
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আল্লামা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজায় পুলিশী বাধাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের গোলাগুলিতে ১ জন নিহত ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিতে নিহত ব্যক্তি হলেন- ফোরকান (৫০) চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আবদুল বারী পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টায় চকরিয়া সরকারি হাইস্কুল মাঠে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হওয়ায় লোকজন সমাগম হতে থাকে। গায়েবানা জানাজার খবর পেয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ অকুস্থলে পৌঁছে বাধা দেয়ায় ৪ বার। স্থান পরিবর্তন করে লামার চিরিঙ্গা মসজিদ চত্ত্বরে গায়েবানা জানাযার প্রস্তুতি নিচ্ছিল জামায়াত। জানাজায় অংশ গ্রহণের জন্য শত শত মুসল্লি আসতে থাকে।
চকরিয়া নিউ মার্কেট এলাকায় উত্তেজিত জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে পুলিশ ছাত্রলীগ এতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মুসল্লিদের হতাহত করে।
এ সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া শহরের থানা রাস্তার মাথা থেকে চকরিয়া জনতা শপিং সেন্টার পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ফলে মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য জাফর আলম বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়ে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ বলেন, কার গুলিতে কে নিহত হয়েছে আমি জানি না। জানাজা শেষে ফেরার পথে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ও ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করে।