অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবন এবং সচিবালয়ের আশপাশে সব ধরনের গণজমায়েত ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসার পর অন্তর্বর্তী সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। এরপর ওইদিন রাতেই ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে গণজমায়েত ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের কথা জানানো হয়।
এদিকে এ ব্যাপারে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে পড়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের। তিনি এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করে অন্তর্বর্তী সরকারকে খোঁচা দিয়ে ক্যাপশন দেন তাতে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজে সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, ‘সচিবালয় এলাকার আশপাশে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক সমালোচনা করেছেন আমাদের বুদ্ধিজীবীরা। এরপরও দুই সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনকে সেসব এলাকায় সব সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে হয়েছে। দায়িত্বে না থেকে সমালোচনা করা সহজ। আর ক্ষমতায় থাকা ও শাসন করা একদমই ভিন্ন ব্যাপার।’
প্রসঙ্গত, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রোববার সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তাদের প্রতিনিধিদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এর কিছুক্ষণ পরই আবারও আন্দোলন শুরু করেন আনসার সদস্যরা। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।