চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪০০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মোহাম্মদ রিফাত (১৯) ও মো. ইমরান হোসেন (২৩) নামে দুই যুবককে আটক করেছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রামের পারভেজের স্ত্রী তুহিন বেগম।
মামলার পরপরই দুই যুবককে আটক করা হয়। এর মধ্যে রিফাত উপজেলার পশ্চিম গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের জমাদার বাড়ির মীর হোসেনের ছেলে এবং ইমরান উপজেলার সেন্দ্রা গ্রামের গাজী বাড়ির শুকুর আলীর ছেলে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক।
এদিকে শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার মকিবাদা সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কিশোর সাইমুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর ধানমন্ডি সুপার ম্যাক্স নামক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
কিশোর সাইমুন হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার একটি হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। তাদের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চরবাকিলা গ্রামে। তার বাবা পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। তারা হাজীগঞ্জ মিঠানিয়া ব্রিজ সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে স্থানীয় দুই গ্রাম মকিমাবাদ-টোরাগড়ের কিশোরদের মধ্যে সংঘর্ষে হাজীগঞ্জ বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। তারা সকলে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত বাকি সন্দেহভাজনদের ধরতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।