একে একে বেশকিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক ছাড় দেয়া হলেও তার কোনো প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। ফলে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে পেঁয়াজ-আলুর দামও ঊর্ধ্বমুখী। তাই কিছুটা স্বস্তির আশায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভর্তুকিমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনছেন সাধারণ মানুষ।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে শুল্কছাড়সহ সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগ কাগজেই রয়েছে। কার্যত তার প্রভাব নেই বাজারে। গত দুই মাসে ডিম, ভোজ্যতেল, চিনি ও চাল আমদানিতে শুল্কছাড় দেয় সরকার। চালে পুরোপুরি শুল্কছাড় মিললেও আমদানি হয়নি একটুও। বিপরীতে মাস খানেক ধরে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। টিসিবির হিসাব বলছে বছর ব্যবধানে মূল্যবৃদ্ধির এই হার ১৮ শতাংশ।
চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ শুল্ক নামিয়ে আনা হয়েছে পনেরো শতাংশে। ফলে প্রতি কেজিতে দাম কমার কথা ১২ টাকা। তবে তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কমেনি দাম। উল্টো প্রতি কেজি চিনিতে বাড়তি গুনতে হচ্ছে পাঁচ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। উৎপাদক ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক ছাড়েও ভোজ্যতেলের দাম কমেনি।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দাম কিছুটা কমলেও সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে দেড়শো আর আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা পর্যন্ত। যৌক্তিক দামের চেয়ে বাড়তি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ডিম।
এদিকে বাজারে নিত্যপণ্যের চড়া দামের চাপ সইতে না পেরে টিসিবির ট্রাকসেলের সামনে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘলাইন আর বাড়তি সময়ের ভোগান্তি শেষে কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে কিনছেন চাল,তেল ও মসুর ডাল।
শুধু ভর্তুকি মূল্যে সনাতনী কায়দায় স্বস্তির পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের দাবি দীর্ঘদিনের। তবে দায়িত্ব নেয়ার তিনমাসেও বাজার ব্যবস্থাপনায় মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার।