নির্বাচনী কর্মকর্তার উপর হামলার অভিযোগে অবশেষে দুইদিন পর বাশঁখালীর এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
শুক্রবার দুপুরে বাঁশখালি থানায় এমপিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন।
এদিকে মামলা দায়েরের খবর প্রচার হওয়ার পরপরই বাশঁখালীতে এমপি অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দক্ষিন হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমানসহ তিনজনকে আসামী করা হয়েছে স্বীকার করে বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশে সংসদ সদস্য ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রহারের সময় উপস্থিত আরো দুইজনকে এই মামলায় আসামী করা হয়েছে।
সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরো সাত আটজনকেও আসামী করা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগে ৩৩২ ও ৩৫৩ ধারায় এই মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, মামলা দায়েরর পর থেকে বাশঁখালীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে, সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচনকমিশন সচিবালয় থেকে মামলার নির্দেশনা চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য এমপির নির্দেশ মোতাবেক নির্বাচনী কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং অফিসার) নিয়োগ না করায় বুধবার দুপুরে বাশঁখালীর উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে ইউ্এনও অফিসে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার অনুসারি আওয়ামী লীগ নেতারা।
