ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কারাগারে বিএনপি নেতা পিন্টুর মৃত্যুঃ শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলার আবেদনে আসামি হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু (৫০) রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী আবদুল মালেক রানা মামলার আবেদন উপস্থাপন করেন।

আদালতে রিন্টুর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক লিমনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার আরজিতে দেখা গেছে, আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকার সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আসাদুজ্জামান কামাল, আনিসুল হক, হাজী মো. সেলিম, সোলায়মান সেলিম, ইরফান সেলিম, মনির হোসেন ওরফে কোম্পানি মনির ওরফে স্প্রিট মনির ও এএস শরিফ উদ্দিন ওরফে ব্ল্যাক শরিফ।

এছাড়াও তৎকালীন আইজিপি, তৎকালীন আইজি প্রিজন, তৎকালীন ঢাকা ও রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার শাহাদত হোসেন, কারা চিকিৎসক আবু সায়েম, কয়েদি রাব্বানী ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু কাহার আকন্দের নাম রয়েছে তালিকায়।

প্রসঙ্গত, ছাত্রদলের সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের নির্বাচনে লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নাসির উদ্দিন পিন্টু। পরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। পিলখানা হত্যা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। এ ছাড়া একটি অস্ত্র লুটের দায়ে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল।

এদিকে, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল পিন্টুকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কয়েকদিন পরে তিনি অসুস্থ বোধ করলে ২৬ এপ্রিল তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে ফের কারাগারে নেয়া হয়। পরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চিঠি দিয়ে কারাগারে চিকিৎসক ডাকা হয়। চিঠি পেয়ে একজন চিকিৎসক গেলেও তাকে কারাগারে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ২০১৫ সালের ৩মে দুপুরে কারাগার থেকে পিন্টুকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ কারণে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ৭ (১) ধারামতে আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু জানান, আমার ভাইয়ের জনপ্রিয়তা ও বিএনপির প্রতি তার অবদানকে ভয় পাচ্ছিল হাসিনা সরকার। তাই তাকে পরিকল্পিতভাবে পিলখানা মামলায় ফাঁসিয়ে সাজা দেয়া হয়। এরপর কারাগারে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের কারণে আমার ভাই প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতে পরিবারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ আই হসপিটালে নিজ খরচে তার নিয়মিত চিকিৎসা চলবে। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে তাকে ঢাকায় না রেখে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ও পরে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তার চিকিৎসা না করে সুপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়।

বাদীর আইনজীবী আবদুল মালেক রানা জানান, আদালতে মামলার আর্জি জমা দেয়া হয়েছে। আদালত তাদের বক্তব্য শুনেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আদালত কোনো আদেশ দেননি। এ বিষয়ে পরে আদালত আদেশ দিতে পারেন। তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য এটি কোনো তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠানো হতে পারে। অবশ্য পরে জানা গেছে পিবিআইকে এই মামলা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।

সর্বশেষ

মসজিদ-অফিসে এসি ২৫ ডিগ্রি রাখার নির্দেশনা

ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের শহীদ, আহতদের যোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে

আরব আমিরাত ও সৌদিতে ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করবে সরকার

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী মোনালিসা গ্রেফতার

করের আওতায় আসছেন গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ী-চিকিৎসক-আইনজীবীরা

মৃত আত্নীয়কে দেখে বাড়ী ফেরা হলোনা স্বামী-স্ত্রী

কোস্টগার্ডের আধুনিকীকরণে সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকারঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print