ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে এমপি নদভীর স্ত্রী’র বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামে এমপি স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করেন তারা।

আজ বুধবার দুপুরে (০১ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ড এর উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, সাবেক জামায়াত নেতা ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভীর স্ত্রী এবং মহিলা আওয়ামী লীগের দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রিজিয়া রেজা চৌধুরীর বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছে।

মহিলা আওয়ামী লীগের দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রিজিয়া রেজা চৌধুরী। পাশে গোলাম আযমের সাথে স্বামী নদভী।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন বলেন, বাংলার মাটিতে রাজাকারের ঠাঁই হবে না। মানবতাবিরোধী আল শামস কমান্ডার জামায়াত নেতা মোমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়া রেজা চৌধুরী তার বাবার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, তার বাবা যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। তিনি আসলে এসব মিথ্যাচার করে বাবার অপকর্ম ঢাকতে চেয়েছেন। আমরা মোমিনুল হক চৌধুরীর যুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপকর্মের বিচার এবং তাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ারি দেন।

সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তাহের এলএমজি তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধকালীন আলবদর কমান্ডার জামায়াতের সুরা সদস্য যুদ্ধাপরাধী মমিনুল হকের কন্যা, সাতকানিয়ার সাংসদ-পতœী রিজিয়া রেজা চৌধুরী একুশে ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার বাবা যুদ্ধের সময় স্বাধীনতার পক্ষে পজেটিভ কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বক্তব্য মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অবমাননাকর। এটি সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের চরম বিকৃতি ঘটানোর অপচেষ্টা। তাকে যুদ্ধাপরাধের মামলা ও শাস্তি থেকে বাঁচাতেই এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।

রিজিয়া রেজা চৌধুরী।

তিনি বলেন, মোমিনুল হক প্যারেড মাঠে নিজামীর জানাজায় জামায়াত-শিবিরকে একত্রিত করেছিলেন। তার নির্দেশে ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল আহম্মদ সৈয়দ ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কাঞ্চনার বুদ্ধিজীবী রায় বাহাদুর কামিনী ঘোষসহ ১৮ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়।

এর মধ্যে আটজনকে কামিনী ঘোষের ভিটায় এবং ১০ জনকে নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন দক্ষিণ চট্টগ্রামে আলবদর, আল শামসের অপারেশন কমান্ডার। একাত্তরের ৩ ডিসেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার বিএলএফ কমান্ডার মনির আহম্মদ রাজাকার শিরোমনি মোমিনুল হক চৌধুরীসহ ২৭ রাজাকারকে ছোট পুকুরিয়ায় বাঁশখালীর গ্রুপ কমান্ডার শফির কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।

মানববন্ধনে যুদ্ধকালীন ১ নম্বর সেক্টরের অধীন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটগুলোর কমান্ডাররাসহ বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।

*জামায়াত নেত্রী রিজিয়া এখন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print