পুলিশী বাধার মুখে চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে বিএনপির ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচী। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর নূর আহমদ সড়কের নাসিমন ভবনের গেইটে পুলিশী ঘেরাও এর মধ্যে বিএনপির একঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে জানান নগর বিএনপি নেতারা।
তবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা কর্মীরা সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন।
বিএনপি নেতারা বলেন, নূর আহমদ সড়কের উপর অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে মুখে এ কর্মসূচি চলে।
কর্মসূচি চলাকালে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থার অবস্থান নেয়।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এ সরকার একটি অনির্বাচিত সরকার, তারা জনগেেণর ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করেছে। এই সরকার স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট কায়দায় অতীতের স্বৈরাচার এরশাদ সরকারকেও হার মানিয়েছে। সরকার দেশকে একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেই বিএনপি কোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলেই পুলিশ তাতে বাধা দেয়, এই হচ্ছে দেশের গণতন্ত্র।
ডা. শাহাদাত আরও বলেন, সরকার দেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে গ্যাসের মুল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে। সর্বক্ষেত্রে চলছে নৈরাজ্য, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে পরিবহনভাড়াসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি লাগামহীনভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। দেশের মানুষ এই অবৈধ সরকারকে আর চায় না।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রামে ৫০০-৫৫০ এম.এম.সি.এফ চাহিদার বিপরীতে সম্প্রতি ২০০-২২০ পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ করা হলেও গত কিছুদিন ধরে তাও হ্রাস পেয়েছে। ফলে আবাসিক ও শিল্পখাতে গ্রাহকরা চরম দুর্দশার শিকার হচ্ছে। চলমান গ্যাস সংকটের কারণে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা ও রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চট্টগ্রাম চাহিদার তুলানায় গ্যাস সরবরাহ কম হওয়ায় গৃহস্থলীখাতে গ্যাসের অভাব ও গ্যাসের চাপ অত্যন্ত কম বিধায় রান্নার কাজ পুরাপুরি বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরী এখন চরম গ্যাস সংকটে ভুগছে। তিনি গ্যাসের এই সংকট নিরসনে বর্তমান নাজুক অবস্থা বিবেচনা করে জরুরী ভিত্তিতে জাতীয় গ্রীড থেকে চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করে এবং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। জনগণ সরকারের এ হটকারী সিদ্ধান্ত কোনদিনই মেনে নেবে না। চট্টগ্রামের মানুষ গ্যাস সংকটের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে। চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ লাইনে পাইপ বৃদ্ধি করে পর্যাপ্ত গ্যাস বরাদ্ধ করতে হবে।
এ ব্যাপারে ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, বিএনপি তাদের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কোন সমস্যা করেনি। তারা যদি রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করতে চাইলে আমরা অবশ্যই বাধা দিতাম। যেহেতু তারা রাস্তায় অবস্থা না করে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করেছে তাই কোন ধরণের সমস্যা হয়নি।
মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাতের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-বিএনপি নেতা মোঃ মিয়া ভোলা, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, হাজী মোঃ আলী, এস.এম. সাইফুল আলম, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কাজী বেলাল উদ্দিন, মোঃ আলী, আশরাফ চৌধুরী, হারুন জামান, ইস্কান্দর মির্জা, শফিকুর রহমান শপন, মোশারফ হোসেন ডিপ্তি, আর.ইউ.চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, মোঃ সালাহ উদ্দিন, শাহেদ বক্স, সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুব আলম, কামরুল ইসলাম, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, বেলায়েত হোসেন বুলু, জেলি চৌধুরী, মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, হাজী নবাব খান, এস.এম. জি আকবর, মোঃ সালাহ উদ্দিন, হাজী মোঃ মহসিন, শরফরাজ কাদের রাসেল, হাজী মোঃ বেলাল হোসেন, হাজী মোঃ তৈয়ব, হাজী হানিফ সওদাগর, কাউন্সিলর হাজী ইসমাইল বালি, কাউন্সিলর ইয়াছিন চৌধুরী আসু, জসিম উদ্দিন জিয়া, আলী আব্বাস খান, আলাউদ্দিন আলী নুর, এস.এম ফরিদুল আলম, মোঃ সাহাবুদ্দীন, আশরাফ উদ্দিন, আব্বাস রশিদ, এম.এ. হালিম বাবলু, নুর হোসেন, আতাউল্লাহ বাবু, সাইফুর রহমান বাবুল, এস.এম. মফিজ উল্লাহ, জামাল আহমেদ, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আব্দুল্লাহ আল ছগির, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, সাইফুর রহমান শপথ, হাজী এমরাম উদ্দিন, এম.আই. চৌধুরী মামুন, ডা. সরওয়ার আলম, আব্দুল হালিম স্বপন, ছাত্রদল নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দিন নাহিদ, ইকবাল হোসেন, খায়রুজ্জামান, জাহেদ উল্লাহ রাশেদ, আব্দুল কাদের জসিম, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, আজাদ বাঙালি, আবু মুসা, নুর হোসেন নুরু প্রমুখ।
