
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সদরের নামার বাজার এবং কলেজ রোড চৌধুরী পাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে থেকে গোপন খবরে পুলিশ দুটি ঘেরাও করে তল্লাশী শুরু করলে কলেজ রোড়ের বাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটনানো হয় বলে পুলিশ জানায়। এতে দু্ই পুলিশ আহত হয়েছে।
তবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ঐ বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গোলা বারুদ উদ্ধার এবং এক শিশুসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন জঙ্গি আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, আজ বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে কলেজ রোড় চৌধুরীপাড়ার প্রেমতলাস্থ ছায়ানীড় ভবনের নিচতলার একটি বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা হ্যান্ডগ্রেনেড ছোঁড়ে। এতে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল সহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। এরপর পুলিশ সদস্যরা পিছু হটেন। বর্তমানে বাইরে থেকে পুরো ভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এবং গাছের সাথে মাইকিং করে ভীতরে থাকা জঙ্গি সদস্যদের বের হওয়ার আহবান করা হচ্ছে।
আমাদের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম দুলু ঘটনাস্থল থেকে টেলিফোনে জানান, পুলিশ জানিয়েছে ১৫/১৬ দিন আগে ব্যবসায়ি পরিচয়ে দিয়ে কিছু লোক ছায়ানীড় ভবনের নিচতলার বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল। ওই ভবনে আরও কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকেন। গোপন খবরের ভিক্তিতে আজ দুপুরে পুলিশ প্রথমে নাম্বার বাজার ল্যাবরোটরির পাশ্বের একটি বহুতল ভবন থেকে এজনকে আটক করার পর তার স্বীকারোক্তিতে প্রেমতলার ছায়ানীড় ভবন ঘেরাও করে অভিযান চালাতে গেলেই নীচতলার একটি বাসা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে পরপর ৩টি গ্রেনেড ছুড়ে মারে এতে সীতাকুণ্ড থানার ওসি তদন্তসহ ২ পুলিশ আহত হয়।
বাসার ভীতরে ৩ জন রয়েছে বলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান।
এদিকে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম এবং জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা ঘটনাস্থলে পৌছেছেন।
সন্ধ্যার পরপরই বাড়িতে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশের বিশেষ টিম। এ জন্য চট্টগ্রাম থেকে নেয়া হয়েছে পুলিশের বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত টিম সোয়াত দলকে।
এ ঘটনাকে ঘিরে দুপুর থেকে হাজার হাজার মানুষ দুটি এলাকায় ভীড় জমিয়েছে। পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খাচ্ছে। এলাকায় অাশেপাশের মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পার করছে।