পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী সন্দেহে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক যুবকের নাম শাহ জামাল রবীন (২৮)। শুক্রবার রাতে নগরীর বায়েজিদ থানার শীতলঝর্না এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক রবীন কুমিল্লার লাকসাম থানার মো. শাহজাহানের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার সাংবাদিকদের জানান, শাহজামান মিতু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা পৌনে একটায় সিএমপি কার্যালয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জানান, মিতু হত্যার সময় ঘটনাস্থলে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হয়ে যে যুবক হত্যাকাস্ডে অংশ নেয় আমরা সন্দেহ করছি রবিনই সে যুবক। তাকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ ব্যাপারে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
হত্যাকাণ্ডের পর সংগ্রহকরা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু তার সন্তান মাহিরের হাত ধরে গলির মুখে এসে পৌঁছান। ঠিক এর ১৫ সেকেন্ড পর বিপরীত প্রান্তে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা এক যুবক মোবাইলে কথা বলতে বলতে তাকে অনুসরণ করে পেছন পেছন হাঁটতে থাকেন।
৬টা ৩২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে তিনি ওয়েল ফুডের সামনে পৌঁছানোর সাথে ১ সেকেন্ডের ব্যবধানে পেছন থেকে দৌঁড়ে মিতুর দিকে এগিয়ে যায় ঘাতক। ঠিক একই সময়ে মোটরসাইকেল নিয়ে আগে থেকেই নিরিবিলি হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুই যুবক মিতুর উপর হামলা করে। হামলা শুরু এবং শেষ করে মোটরসাইকেলে উঠতে ঘাতকরা সময় নিয়েছে মাত্র ১৭ সেকেন্ড! এর মধ্যে মাহমুদা খানম মিতুর শরীরে করা হয়েছে ৮টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও দুটি গুলি।
৬টা ৩৩ মিনিট ০৫ সেকেন্ডে খুনিরা কিলিং মিশন শেষ করে মোটরসাইকেলে চেপে বসে। তবে মোটরসাইকেলটি চালু হতে সময় নেয় ১৯ সেকেন্ড। ৬টা ৩৩ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে তিন খুনি মোটর সাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায়।
যে মোটর সাইকেল চালাচ্ছিল, তার মাথায় ছিল হেলমেট। বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫। তার পেছনে দুজন বসা দুজনের মধ্যে মাঝখানে বসা যুবকের হাতে ছিল ছুরি। আর পেছনে বসা তৃতীয়জনের হাতে ছিল পিস্তল। ধারণা করা হচ্ছে, এই তৃতীয়জনই ছিল আটক রবিন।