
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানা এলাকায় এক গার্মেন্টস এক্সসোরিস কমিশন ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠান ও বাসগৃহে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটতরাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী দু’দফা হামলা চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীর ৫ লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও প্রায় ১৩ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্রসহ লুট করে নিয়ে যায়।
আজ সোমবার ২ অক্টোবর বিকালে হামলার শিকার ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী প্রকাশ সুজন চট্টগ্রাম চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে অভিযোগ দিলে বিচারক বাকলিয়া থানাকে তদন্ত করে তা নথিভূক্ত করার আদেশ দিয়েছেন। মামলায় ৬জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, স্থানীয় মো.ইউনুছ কেরানী, জসীম উদ্দিন, আলী আব্বাস ও মহসীন, লেদু মিয়া ও রিয়াদের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী,ডাকাতি,ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। চক্রটি গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় ব্যবসায়ী ইফতেখার উদ্দীন চৌধুরী প্রকাশ সুজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
বাদির আইনজীবী এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌণ ১০টার দিকে ইউনুছের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে চাক্তাই হাজী ইছহাক বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় আমার বাসায় প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর করে। আমার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে এবং আমার মা ও পরিবারের লোকজনকে বেঁধে রেখে আলমারিতে রক্ষিত ৫ লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি ল্যাবটপসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় তার বড়ভাই ফখরুদ্দিন তাদের বাঁধা দিলে তাকে গলায় কিরিচ ধরে হত্যার হুমকি দেয়। সুজন বলেন, এসময় তাদের পরিবারের লোকজনকে ব্যাপক মারধর করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর বিষয়টি বাকলিয়া থানায় জানানো হলেও পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে সুজন বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনীটি এলাকায় কেউ ব্যবসা করতে গেলে অথবা ভাড়াটিয়া আসলে তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তিনি বলেন, এখনও তাদের ভয়ে আমরা বাসায় যেতে পারছিনা। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি কখন কি হয়।