ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সেশনজটের মহাজ্যামে চবি’র আইএমএল বিভাগ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ইমাম ইমু, চবি প্রতিনিধিঃ 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএমএল (ইন্টারন্যাশনাল মর্ডান ল্যাংগুয়েজ) বিভাগের সেশন জট যেন লেগেই আছে। যারা মাস্টার্স শেষ করে চাকরি-বাকরিতে থাকার কথা তারা সবেমাত্র চতুর্থ বর্ষে অবস্থান করছে।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ১২-১৩ সেশন যারা মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা তারা সবেমাত্র চতুর্থ বর্ষে । ১৩-১৪ সেশন যাদের অনার্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা তারা এখনো তৃতীয় বর্ষে রয়েছে, এখনো তৃতীয় বর্ষের পরিক্ষার রুটিনও দেওয়া হয়নি। ১৪-১৫ সেশনের এখনো দ্বিতীয় বর্ষের পরিক্ষার ফলাফল দেয়নি, যার কারণে ১৫-১৬ সেশনের এখনো দ্বিতীয় বর্ষের পরিক্ষা নিতে পারছে না, দেওয়া হয়নি রুটিনও। ১৬-১৭ সেশনের পরিক্ষা প্রথম বর্ষের ফলাফল এখনো দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেশনজটে আটকা পড়া শিক্ষার্থী পাঠক ডট নিউজকে বলেন, বিষফোঁড়া,পুরো গায়ে ব্যথা আর বেদনা। অনেক কষ্ট, অনেক সমস্যা যেন আগলে ধরেছে। কিছুতেই শান্তি নেই। সারাক্ষণ জ্বালা আর যন্ত্রণায় ছটফট করার মত অবস্থা। যেন পুরো জীবটাতেই জট লেগেছে। কিছুতেই যেন খুলছে না।

স্কুল-কলেজের গণ্ডি সফলতার সঙ্গে অতিক্রম করে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীকে ভর্তিযুদ্ধে পিছনে ফেলে গুটি কয়েক শিক্ষার্থীর ভাগ্যে জুটে ‘সোনার হরিণ’ তুল্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত একটি সিট।

এক বুক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবন শুরু করে। নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেটি বা মেয়েটির চোখে ঝলঝলে স্বপ্ন সবসময় তাড়া করে। কত দ্রুত সফলতার সঙ্গে শিক্ষাজীবন শেষ করে তার তৃষ্ণার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা বাবা-মা, ছোট ভাই কিংবা ছোট বোনটির মুখে হাসি ফুটাবে, প্রশান্তির ছায়া উপহার দিবে এমনটাই দাবি রাখে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর দিন দিন তার স্বপ্নের মাঝে হতাশা ও অস্থিরতার চাপ পড়ে। যখনই সেশনজট নামক বিভীষিকাময় শব্দের সঙ্গে পরিচিতি লাভ করে। তখনই যেন সবকিছু তছনছ হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অসুস্থ ছাত্র-রাজনীতি, আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের আন্তরিকতার ঘাটতি আর প্রচলিত সিস্টেমের আধিপত্যের কারণে আমাদের স্বপ্নগুলো বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায়, প্রতিটি অক্ষরের মাঝে চাপা পড়ে থাকে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।

এদিকে সেশনজটের ব্যাপারে জানতে চাইলে চবি ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী পাঠক ডট নিউজকে বলেন, শুধুমাত্র সেশন জটের কথা মাথায় রেখে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে প্রধান করে শিক্ষা মনিটরিং সেল গঠন করেছি।

আমরা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি, অলরেডি আমাদের ৪৬ বিভাগের (ইনস্টিটিউটসহ) প্রায় ৮০ ভাগ বিভাগ সম্পূর্ণ জট মুক্ত। আরো কিছু বিভাগ আছে যা সম্পূর্ণ জট মুক্ত হওয়ার পথে। আইএমএল এর ব্যাপারে আমাদের সুদৃষ্টি আছে, শুধু আইএমএল নই অন্যান্যা যেসব বিভাগ রয়েছে বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি, বিবিএ’র বিভাগগুলো সব কয়েক মাসের ভিতরে জট মুক্ত হয়ে যাবে এবং আশা করি অতিসত্ত্বর সম্পূর্ণ জট মুক্ত ক্যাম্পাস হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print