চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড মডেল থানা হতে আনুমানিক ৩-৩.৫ কিমি উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বটতল এলাকায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে ১ জন নিহত এবং আহত হয়েছে ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতা এমপি দিদারুল আলম বলেন, রবিবার দুপুর আনুমানিক ১২.৩০-১.০০ টা মিনিটের দিকে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের কর্মীরা আমাদের লোকের উপর হামলা চালায়। হামলায় তারা ২০১৩-১৪ সালে মত পেট্রোল বোমাও ব্যবহার করে। তাদের আক্রমন ও বোমার বিস্ফোরণে এবং ছোড়া গুলিতে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর জখম হয়ে আমাদের একজন কর্মী ইকবাল বাহার (২৮) মারা যায়। তিনি আরো বলেন, শান্তিপ্রিয় সীতাকুন্ডকে ছাত্রদল নরকুন্ডতে পরিণত করতে চায়। অপরদিকে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ শরীফুল ইসলাম অভিযোগ করেন ১৯.০৩.১৭ ইং তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্যজোটের আহবানে চলমান লাগাতার হরতাল ও অবরোধসহ বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচীর উপলক্ষ্যে আমাদের কর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায়। তবে সেদিন দায়িত্বে থাকা এস.আই মোঃ শাহেদ আলী ও তার সঙ্গীয় এ.এস আই মোঃ রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, সেইদিন ডিউটিতে থাকাকালে সংঘর্ষের ঘটনা যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন ৪.৩০ মিনিটে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টাকালে ছাত্রদলের কর্মীরা পুলিশের উপরও ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে সাথে সাথে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে, এসময় জনগণের জানমাল রক্ষার্থে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে ছাত্রদলের কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে সন্দেহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করি। আসামিরা হলো মোঃ আসলাম চৌধুরী (৫২), মোঃ শরীফুল ইসলাম (২৮), মোঃ ইসহাক কাদের চৌধুরী (৫৬), মোহাম্মদ ইসতিয়াক মাহমুদ (৩৩), মোঃ শাহা আলম (২৬), মোঃ রাসেল (২৬), মোহাম্মদ মিজানুল হক (৪২), আবদুস সালাম (২০), জয়নাল আবেদীন বকুল (৩০), মোহাম্মদ নোমান (১৯), মোঃ রিপন (২৫), মোঃসাইফুল ইসলাম (২৫), নুরুল ইসলাম (২০), আবদুল আজিজ (৩৩), আবু সালেক (৩০), মোশারফ হোসেন (৩০), নূর মোহাম্মদ (৩৪), মোঃ আলমগীর (৩৬), অহিদুল আলম চৌধুরী (২৯), সিরাজুল আলম চৌধুরী (৩৬), মোজাম্মেল হোসেন (২৬), দিল মোহাম্মদ (৩০), মোঃ ফারুক হোসেন (২৬), অজ্ঞাতনামা আরো ৭০-৮০ জন। সীতাকুন্ড থানার ওসি বলেন, হামলার ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।