ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ভূজপুরে গৃহবধূ মামনি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে বউ-শাশুড়ির বিরোধ!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামে ফাটিকছড়ি উপজেলা ভূজপুর থানার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের গৃহবধূ মামনি হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও নিরীহ নিরাপরাধ পরিবারকে মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় দিতে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে দিয়ে তদন্তে দাবী করেছেন মহানগর, হারুয়ালছড়ির বাসিন্দা শ্যামল কান্তির পরিবার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান শ্যামল কান্তি দে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বউ শাশুড়ির বিরোধ থেকে শাশুড়ি রত্মা রানীর ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ডে ঘটিয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। অথচ এ ঘটনায় আমার এবং প্রতিবেশীর দুই নিরাপরাধ ছেলে আজ জেল খাটছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত ১৪/৪/২০১৯ ইং তারিখে রাত ১.০০টার দিকে ভূজপুর থানাধীন হারুয়ালছড়ি গ্রামের প্রবাসী রূপন কান্তি দে’র স্ত্রী গৃহবধূ মামনি দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় এবং তার শশুর মিলন কান্তি দে কে পেটে আঘাত করে নাড়িভূঁড়ি বের করে ফেলে। ওই ঘটনার পর মিলন কান্তি পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার পুত্র সানি দাশ ও প্রতিবেশী তনয় দে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে চালান করে। তাদেরকে ভূজপুর থানা পুলিশ ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বর্তমানে তারা দুজন চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে রয়েছে।

এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় প্রতিবেশী হিসেবে আমরা এবং পুরো এলাকাবাসী ব্যাথিত ও শোকাহত। কিন্তু এলাকার একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেসী মহল নির্মম এ হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমি এবং আমার পরিবারেকে ঘায়েল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা পুরো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আড়াল করে প্রকৃত খুনিদের বাঁচানোর জন্য নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে।

শ্যামল কান্তি দে বলেন, নিহত গৃহবধূ মামনি স্বামী দুবাই থাকেন। তাদের বিয়ে হয়েছে ৫ বছর আগে। বিয়ের পর স্বামী বিদেশে চলে যাওয়ার পর শাশুড়ি রত্মা রাণী প্রায় তার পুত্রবধূ মা মনিকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতো। মারধর করে কয়েকবার মামনিকে আহতও করেছিল। একবার কপালও পাঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে দু পরিবার ও সমাজে শালিস বিচার হয়েছে অসংখ্যবার। প্রতিবেশী হিসেবে আমি নিজেও কয়েকবার শালিশ বিচার করি। বরাবরই নিহতের শাশুড়ি রত্মা রানী দোষি সাব্যস্থ হয়।

রত্মা রানী সামাজিক বিচারে দোষি সাব্যস্থ হওয়ায় নিহত মামনির প্রতি আক্রোশ পোষন করে আসছিল এবং একাধিকবার তিনি পুত্রবধূ মা মানিকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিল। বউ শাশুড়ির এসব দ্বন্ধের কারণে রত্মা রাণীর ভাড়া করা সন্ত্রাসীরাই পুত্রবধূ মামনিকে হত্যা করে পুর্ব শত্রুতার জেরে প্রথমে ডাকাতি পরে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা খুনের মামলার দায় চাপিয়ে গ্রেফতার করায়।

অথচ গ্রেফতারের পর পুলিশ আমাদের দুই ছেলেকে রিমান্ডে নিয়েও হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোন তথ্য পায়নি। কারণ আমার দুই ছেলে এবং আমরা কেউ এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়।

সংবাদ সম্মেলনে এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে প্রশাসনের প্রতি ০৯টি সুত্র তুলে ধরেন। এসব তথ্য উদঘাটন করতে পারলে মামনি হত্যার প্রকৃত খুনি কারা জানা যাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন শ্যামল কান্তি দে।

তিনি বলেন,এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তপূর্বক প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করে আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ঘটনার রহস্য উম্মোচনে চাঞ্চল্যকর এ হত্যার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে দেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print