ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

কুরবানির তাৎপর্য ও শিক্ষা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কুরবানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ। কেননা বান্দাহ কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারে। কুরবান শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে উৎকলিত। অর্থাৎ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা। শরিয়তের দৃষ্টিতে ১০ জিলহজ হতে ১৩ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু জবেহ করাকে কুরবানি বলে। কুরবানির বিধান এর মধ্যে অন্যতম, যার মাধ্যমে মানুষ একদিকে যেমন ত্যাগস্বীকারের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে আল্লাহর আনুগত্যের অধীনে থাকার সুযোগ পায়। অন্য দিকে তার মাঝে লুকিয়ে থাকা পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে মনুষ্যত্ববোধের জাগরণের সুযোগ পেয়ে থাকে। বাহ্যত কুরবানি হচ্ছে তার নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পশু জবেহ করা।

ইতিহাসে নজিরবিহীন কুরবানি পেশ করেন হযরত ইবরাহিম (আ)। আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বন্ধু হযরত ইবরাহিম (আ) কে বিভিন্ন পরীক্ষায় অবতীর্ণ করেছেন এবং ইবরাহিম (আ) সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- “আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহিমকে তার রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করলেন। অতঃপর যে তা পূর্ণ করলেন তিনি বললেন- আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা বানাবো। (সূরা আল বাকারা ১২৪)

কুরবানির গুরুত্ব: কুরবানি আল্লাহ তায়ালার একটি বিধান। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- “তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানি কর।” (সূরা আল কাউসার ২)

হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন- কুরবানির দিনে আদম সন্তানের কোন নেক কাজই এত প্রিয় নয় যত প্রিয় কুরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কুরবানির পশুগুলো তাদের শিং, পশম ও খুরসহ কিয়ামতের দিন (কুরবানি দাতার নেকির পাল্লায়) এসে হাজির হবে। কুরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর নিকট মর্যাদার স্থানে পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা আনন্দচিত্তে কুরবানি কর। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)

তিরমিযী শরীফে রয়েছে- হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রা বলেন, রাসূল (সা) দশ বছর মদিনায় ছিলেন এবং প্রতি বছর কুরবানি করতেন।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে না আসে। [মুসনাদ আহমাদ, ইবন মাজাহ- ৩১২৩ হাদীসটি হাসান]
যারা কুরবানী পরিত্যাগ করে তাদের প্রতি এ হাদীস একটি সতর্কবাণী।

অনুরূপভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানী করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, “হে লোক সকল, প্রত্যেক পরিবারের উপর কুরবানী দেয়া অপরিহার্য।” [সুনান ইবন মাজাহ-৩১২৫, হাদীসটি হাসান]।

উল্লেখিত আলোচনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, কুরবানী করা ওয়াজিব। তবে অনেক ওলামায়ে কিরাম কুরবানী করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ বলেছেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print