চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসনের রাজস্ব অফিস সহায়ক পদের মৌখিক পরীক্ষায় প্রক্সির দায়ে ধরা পড়েছেন ১৪ পরীক্ষার্থী৷ এছাড়াও ধরা পড়ার ভয়ে ওয়াশরুমে যাবার কথা বলে পালিয়েছে ২১ জন।।
আজ বুধবার (১ জুন) নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামসংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে মৌখিক পরীক্ষার সময় ধরা পড়েছেন এসব পরীক্ষার্থী।
আটক ১৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জনের হয়ে প্রক্সি চক্র লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল। বাকি তিনজন আশপাশের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এই ১৪ জনকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আটক এসব শিক্ষার্থীর হয়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন অন্যরা। তবে মৌখিক পরীক্ষায় এসেছেন মূল পরীক্ষার্থীরা। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় তারা ফটোশপ করে আইডি কার্ডে প্রক্সি দেওয়া ব্যক্তির জায়গায় নিজের ছবি লাগান। জালিয়াতি করেছেন এমন ইঙ্গিত পেয়ে নজরদারি বাড়ান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান। তিনি বলেন, এই পরীক্ষার্থীদের হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অন্যরা পরীক্ষা দিয়েছিল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রক্সি চক্রের সহায়তায় তাঁরা উত্তীর্ণও হন। আমরা তেমন কিছু ইঙ্গিত পাওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষার সময় সতর্কতা অবলম্বন করি। এতে দেখতে পাই বেশ কিছু শিক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার হাতের লেখা আর মৌখিক পরীক্ষার হাতের লেখায় অনেক পার্থক্য। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে স্বীকার করে নেন প্রক্সি দিয়েই তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। অবশ্য ১৪ জন ধরা পড়লেও ২১ জন পালিয়ে গেছেন। আমরা আটক পরীক্ষার্থীদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। পুলিশ এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের রাজস্ব অফিস সহায়ক লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৬ এপ্রিল। এরপর ১ জুন তাদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য আহ্বান করা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ২৩৭ জন পরীক্ষার্থী। এতে ১৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।