চট্টগ্রামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলায় স্ত্রী মিতু হত্যার আসামী ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার শুনানী উপলক্ষে আসামী বাবুল আক্তারকে সকালে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১৭ অক্টোবর রাতে নগরীর খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশিকিউশন) মো. কামরুল হাসান।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আব্দুল অয়াদুদ মিয়া। একই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার।
পরে ১০ নভেম্বর সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এর আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করেছেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।