চট্টগ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ৭/৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খানকে শাররীকভাবে মারধর করে তার পরণের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে উৎশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা। আহক মোস্তাক খানকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের তৃতীয় তলায় কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সরকারের পদত্যাগ ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একদফা দাবীতে আগামী ৫ অক্টোবর রোড মার্চ কর্মসূচী সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা চলাকালে দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক পটিয়ার এনামুল হক এনাম সমর্থক ও জেলা বিএনপি সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ সমর্থকদের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের রবিউল হোসেন রবি আহত হয়। এছাড়া হামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তৌহিদুল ইসলাম মিঠু, উত্তর জেলা ছাত্রদলের তকিবুল ইসলাম ও মহানগর যুবদলেরএক নেতাসহ ৭/৮ জন আহত হন।
এর আগে সভায় এনামুল হক এনামকে দাওয়াত না দেয়ার অভিযোগ ২০/২৫ জন তুলে তার সমর্থক শ্লোগান দিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
নগরীর ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মোস্তাক আহম্মদ খান বলেন, পটিয়া এনামের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা করেছে। আমি মীর হেলাল সহ একসঙ্গে পার্টি অফিসে গেলে গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে খোরশেদ মঈনুল আলম ছোটন, , তৌহিদের নেতৃত্বে ভাড়া করা আওয়ামী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়।
এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাক খান বলে এনামের সাথে আমার কোন ব্যবসায়ীক বিরোধ নাই। তার সাথে একটি জায়গার বায়নানামা হয়েছিল সেটি তার দখলে আছে। মূলত সে হাইব্রিট নেতা।
এদিকে মারামারির ঘটনায় কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, সেখানে আমাদের পুলিশ দায়িত্বে ছিল। তবে আমরা নূর আহম্মদ সড়কের অপর প্রান্তে ছিলাম। বিএনপির অভ্যন্তরীন সমস্যার কারণে নেতাকর্মীরা মারামাধি ধাক্কাধাক্কি করতে দেখেছি। আমাদের কোন হস্তক্ষেপ ছিল না। তাছাড়া কোন পক্ষ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।