ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নগরজুড়ে নবী প্রেমিক লাখো মানুষের জশনে জুলুস

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

384284337 278082401813758 5245893000382533288 n নগরজুড়ে নবী প্রেমিক লাখো মানুষের জশনে জুলুস
.

বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জন্মদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জশনে জুলুস।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর জামেয়া আহমদীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া ৫১তম এই জুলুসে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তান থেকে আগত আওলাদে রাসুল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবের শাহ (মজিআ)। সঙ্গে আছেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মজিআ)।

জুলুস শুরুর আগে ষোলশহর আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়ায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

জশনে জুলুসে অংশ নিতে ভোর থেকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার ভক্তরা আসতে থাকেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে। দেখতে দেখতে কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকা লোকারণ্য হয়ে যায়। জামেয়ার বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্র, গাউসিয়া কমিটির বিভিন্ন শাখার কর্মীরা ঈদের খুশিতে মেতে ওঠেন। একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি, টুপি, পাগড়ি নজর কাড়ে সবার।

জুলুসকে কেন্দ্র করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দৃষ্টিনন্দন তোরণ, সড়কদ্বীপ ও সড়ক বিভাজকে জুলুসের পতাকা, বর্ণিল আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুনে ভাবগম্ভীর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

জুলুস বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার অলিখাঁ মসজিদ, প্যারেড মাঠের পশ্চিম পাশ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজ, গণি বেকারি, খাস্তগীর স্কুল, আসকার দীঘি, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেট ঘুরে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মাহফিলে আসবে। জোহর নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাত হবে।

চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলাসহ তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ লাখ সুন্নী ধর্মপ্রাণ মানুষ এই জুলুসে অংশ নিয়েছে।

আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, জশনে জুলুস এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। মানুষ চায় জুলুস বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পাবে। এটি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান পেলে চট্টগ্রামকেও সম্মানিত করবে। ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল বাংলাদেশে প্রথম জুলুসের সূচনা হয় গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ.) এর দিকনির্দেশনায়। চট্টগ্রামের বলুয়ার দীঘির পাড় খানকাহ থেকে আনজুমানের তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নূর মোহাম্মদ আলকাদেরির নেতৃত্বে জুলুসটি বের হয়েছিল। আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) চট্টগ্রামে জুলুসের নেতৃত্ব দেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি জুলুসে নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। তখন থেকে জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)। এটি তাঁর নেতৃত্বে ৩৫তম জুলুস। চট্টগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আনজুমানের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশসহ আশেকদের ব্যবস্থাপনায় ভক্তরা জুলুসে অংশ নেন।

সর্বশেষ

‘ছাগলকাণ্ডে’ আলোচিত মতিউরের স্ত্রীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে সরিয়ে গাজা পরিষ্কার করতে চান ট্রাম্প

চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হতে পারে চীনঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পৃথক তিনটি হত্যা মামলায় ৬ দিনের রিমান্ডে আবু রেজা নদভী

নির্বাচন কমিশনে কারো হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: সিইসি

ডব্লিউএইচওর পরিচালক মনোনয়নকালে কানাডার নাগরিক ছিলেন পুতুল!

বাংলা একাডেমি পুরস্কারের ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print