বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিক প্রদর্শিত (স্কিনিং) হল মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এক রক্তক্ষয়ী অপারেশনের ছবি ‘ওরা সাত জন’।
চলচিত্রটি নির্মাণ করেছেন খিঁজির হায়াত খান। ভিন্ন ভিন্ন পেশা থেকে আসা সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্ব গাঁথা এক ছবি ‘ওরা সাতজন’। ভারতের এক নারী চিকিৎসক যিনি জানবাজি রেখে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়ে আসছিলেন তাকে উদ্ধার করে আনার এক সিনেমা ‘ওরা সাতজন’।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর রেডিসন ব্লুতে এর আনুষ্ঠানিক প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনজীবী, নাট্যকর্মী, কবি, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ‘ওরা সাতজন’ চলচিত্রটির পরিচালক খিঁজির হায়াত খান। এ সময় চলচিত্রটিতে অভিনয় করা অন্য শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন।
‘ওরা সাতজন’ চলচিত্রে ভারতীয় চিকিৎসক অপর্ণা সেনের চরিত্রে জাকিয়া বারী মম, মসজিদের মুয়াজ্জিন সোলায়মান কাজীর চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ , মেজর লুৎফরের চরিত্রে খিজির হায়াত খান,সুমিতের চরিত্রে নাফিস আহমেদ, ডাক্তারের চরিত্রে ইন্তেখাব দিনার, শাফি চরিত্রে সাইফ খান, মুক্তাদির চরিত্রে শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব, নজরুল চরিত্রে খালিদ মাহবুব তুর্য অভিনয় করেছেন। রাজাকার চেয়ারম্যান চরিত্রে জয়রাজ, মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার চরিত্রে শিবা শানু, স্নিগ্ধা চরিত্রে তাসফি ও পাকিস্তানী মেজরের চরিত্রে হামিদুর রহমান অভিনয় করেছেন। সাতজন সাত পেশা থেকে আসা মানুষ। দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে ‘ওরা সাতজন’ কাজ করেন।
‘ওরা সাত জন’ শুটিং হয়েছিল সিলেটের চা বাগান ও মনোরম লোকেশনে এবং মুক্তি পায় ২০২৩ এর তিন মার্চ।
পরিচালক খিঁজির হায়াত খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। মহান স্বাধিীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা এই ছবিতে সাতজনের দুঃসাহসিক কিছু অপারেশনের কথা এখানে তুলে ধরেছি। ১৯৭১ সালে কিভাবে পাকিস্তানিরা নির্াতন করেছিল, তাদেরকে এদেশের রাজাকাররা কিভাবে সহযোগিতা করেছিল তা তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের টানে সাত মুক্তিযোদ্ধা এক হয়েছিল একটি অপারেশনে। এই সাতজনের একজন মসজিদের মুয়াজ্জিন, একজন ডাক্তার, একজন পুলিশ, দুজন আর্মি, একজন মননে কুস্তিগির আর একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেক্টর পাঁচের অধীনে মেজর লুৎফরের নেতৃত্বে এক সফল অপারেশন শেষে এই সাতজনকে দায়িত্ব দেয়া হয় একজন ভারতীয় নারী চিকিৎসককে উদ্ধার করে আনার। দেশ মাতৃকার তরে যুদ্ধের সময়ে কমান্ডারের নির্দেশ মানতে যেয়ে এই সাতজন জড়িয়ে যায় এক রক্তক্ষয়ী অপারেশনে।
ছবিটি দেখে আবেগতাড়িত হয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার নিরবে দুই চোখের অশ্রু ঝড়িয়েছেন।