জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬২৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এর মধ্যে জেলার ১৫ উপজেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জন এবং সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এলাকায় ৫ লাখ ৪১ হাজার জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।
আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে চসিকের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগ প্রথম দিন ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে ক্যাপসুল খাওয়াবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাসের ৮১ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের (১ লাখ ইউনিট) ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল (২ লাখ ইউনিট) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ সময় জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শাল দুধ এবং ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করাতে পুষ্টিবার্তার প্রচার করা হবে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এর আগে গত ১৮ জুন ৬-১১ মাসের ৭৮ হাজার ১২৪ জন এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯০৫ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ শতাংশ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের নাজমাঈ ডেমিরেল সিটি করপোরেশন দাতব্য চিকিৎসালয় মিলনায়তনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী চসিকের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. সুমন তালুকদার, ডা. আখিল মাহমুদ, চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, এবারের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জন এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫ লাখ ৪১ হাজার জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। জেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জনের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ জন।
তিনি বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নে একযোগে এ ক্যাপসুল খাওয়া হবে। এর জন্য স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ ৪ হাজার ৮৩২টি কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও বিভিন্ন স্টেশন, টার্মিনাল, লঞ্চ ও ফেরী ঘাটে শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে।
৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুরা পাবে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।