নানা নাটকীয়তা আর দফায় দফায় বৈঠকের পর অবশেষে আসন সমঝোতায় পৌঁছালো আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। এরশাদের দলকে রংপুর-৩, কিশোরগঞ্জ-৩, পটুয়াখালী-১সহ ২৬টি আসন ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। আর শরিকদের সাতটি ও অন্যান্যদের আরও চারটি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, ছাড় দেয়া আসনগুলো হলো; ঠাকুরগাঁও-৩, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ; কিশোরগঞ্জ-৩, মুজিবুল হক চুন্নু; রংপুর-১, হোসেন মকবুল শাহরিয়ার; রংপুর-৩, জি এম কাদের; নীলফামারী-৪, আহসান আদেলুর রহমান; কুড়িগ্রাম-১, মুস্তাফিজ; কুড়িগ্রাম-২, পনির উদ্দিন আহমেদ; নারায়ণগঞ্জ-৫, সেলিম ওসমান; গাইবান্ধা-১, শামীম হায়দার পাটোয়ারী; গাইবান্ধা-২, মো. আব্দুর রশীদ সরকার; সিলেট-৩, মো. আতিকুর রহমান; নীলফামারী-৩, রানা মোহাম্মদ সোহেল; বগুড়া-৩, নুরুল ইসলাম তালুকদার; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, আব্দুল হামিদ; চট্টগ্রাম-৮, সোলেমান আলম শেঠ; বগুড়া-২, শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ; সাতক্ষীরা-২, মো. আশরাফুজ্জামান; ফেনী-৩, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী; চট্টগ্রাম-৫, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ; পটুয়াখালী-১, রুহুল আমিন হাওলাদার; ময়মনসিংহ-৫, সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ মুক্তি; ময়মনসিংহ-৮, ফখরুল ইমাম; পিরোজপুর-৩, মো. মাশরেকুল আজম রবি; হবিগঞ্জ-১, মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী; মানিকগঞ্জ-১, জহিরুল আলম রুবেল; বরিশাল-৩, গোলাম কিবরিয়া টিপু; রাজশাহী-২, ফজলে হোসেন বাদশা; সাতক্ষীরা-১, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ আহসান; বরিশাল-২, রাশেদ খান মেনন; কুষ্টিয়া-২, হাসানুল হক ইনু; লক্ষ্মীপুর-৪, মোশাররফ হোসেন; বগুড়া-৪, রেজাউল করিম তানসেন এবং পিরোজপুর-২, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
এছাড়া তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, কল্যাণ পার্টি ও তৃণমূল বিএনপিকে একটি করে আসন ছেড়ে দিলেও সেই আসনগুলো এখনো নিশ্চিত করেনি ক্ষমতাসীনরা। যদিও রোববার বিকেল ৪টার মধ্যে এগুলো সব চূড়ান্ত করে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।