চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগড়া-সাতকানিয়া আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী অফিস, গাড়ি ভাঙচুর এবং তার সমর্থকের বাড়িতে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থী নেজামুদ্দিন নদভীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২ দিকে উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইছামতী আলিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ও সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর নামে স্লোগান দিয়ে বুধবার মধ্যরাতে নদভী’র অনুসারী রিয়াজউদ্দিন রিয়াদসহ ২০-৩০ জনের এক দল বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে পোস্টার ও চেয়ার ছুড়ে ফেলে। এসময় সন্ত্রাসীরা শতাধিক রাউন্ডের মতো গুলি ছোড়ে এলাকার লোকজনকে ধাওয়া করে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস, ১টি ছোট ট্রাক, ১টি সিএনজি অটোরিকশার কাঁচ ও পুলিশ বহনকারী অপর একটি সিএনজি অটোরিকশাও ভাঙচুর করে। পরে সন্ত্রাসীরা বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রিদুয়ানুল হক সুমনের বাড়িতে হামলা ও এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে।
এলাকার মামুনুর রশিদ জানান, রাতে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের হামলার সময় ঘটনাস্থলে ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সৈয়দ ওমরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা সন্ত্রাসীদের না ধরে তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব বলেন, পশ্চিম ঢেমশার ইছামতি আলীনগর এলাকায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা করে ভাঙচুর ও গুলি চালায়। এসময় তারা একটি মাইক্রোবাস, ১টি ট্রাকসহ ৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে চেয়ারম্যান সুমনের বাড়িতেও নদভীর লোকজন গুলি চালায়। আমি এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।
সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, চট্টগ্রাম- ১৫ আসনের নৌকার প্রার্থী আবু রেজা নদভী কয়েকদিন থেকে যে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, অসুষ্ঠ করতে চায় তারই অংশ হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এখানে তার বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এখানে পুলিশের ইন্ধন ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বলেন, বুধবার রাতে পশ্চিম ঢেমশা এলাকায় হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে কি হয়েছিলো, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আশেপাশের সিসি (ক্লোজ সার্কিট) টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও প্রয়োজনীয় কল রেকর্ড সংগ্রহ করে দায়িদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার সময় পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো (পুলিশের) বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে আমরা সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।