চট্টগ্রামে লিফলেট বিতরণকালে মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বন্দর থানার কলসি দিঘি সড়ক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যজন হলেন মহানগর যুবদল নেতা আরিফুর রহমান আরিফ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুরুল কাদের মজুমদার। তিনি বলেন, ভাঙচুর ও নাশকতার একটি মামলায় বিএনপি নেতা আজিজসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে এম এ আজিজ ও আরিফুর রহমান আরিফকে গ্রেপ্তারের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
বিএনপি নেতৃবৃন্দের নিন্দা ও প্রতিবাদ :
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ এম এ আজিজ ও যুবদল নেতা আরিফুর রহমান আরিফকে গ্রেপ্তার করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন ৭ জানুয়ারীর আসন ভাগাভাগির ডামি নির্বাচন একতরফাভাবে করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে আওয়ামী সরকার বিএনপি নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করছে। বিএনপিকে নেতৃত্বশুন্য করতেই ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেফতার করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার বিএনপির নেতৃত্বে চলমান একদফার অসহযোগ আন্দোলনে ভীত হয়ে পড়েছে। তাই সরকার গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে বিএনপির আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করছে। এর ধারাবাহিকতায় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ বিএনপি নেতা এম এ আজিজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এম এ আজিজ স্থানীয় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় সাধারণ মানুষের মাঝে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এই মাফিয়া সরকার সামান্য লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীকেও সহ্য করছে না। কিন্তু বিএনপির আন্দোলন দমানোর জন্য সরকারের কোন কৌশলই সফল হবে না। বিএনপির নেতৃত্বকেও দুর্বল করা যাবে না। কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির সর্বশেষ ব্যক্তিটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে হরতাল অবরোধ ও লিপলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে। বিন্দুমাত্র বল প্রয়োগ না করেই ধৈর্য্যরে সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি সফল করছেন। জনগণ বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে দেখে স্বৈরাচারী সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আগের কায়দায় তাদের পেটোয়া বাহিনী পুলিশকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। ভূয়া, গায়েবি অভিযোগ তুলে পুলিশের সদস্যরা এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিরাতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে। পেলেই গ্রেফতার করে বিভিন্ন গায়েবি মামলার আসামি করে দিচ্ছে। পুলিশের বাড়াবাড়ি নির্যাতন অতীতের যে কোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। পুরো চট্টগ্রামকে যেন একটি কারাগার বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা পুলিশ বাহিনীর এ ধরনের আচরণের নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, আওয়ামী লীগের কর্মচারী নন। আপনারা আওয়ামী লীগের কর্মীর ভূমিকার অবতীর্ণ হবেন না। গায়েবি মামলা হামলা, গ্রেফতার নির্যাতন বন্ধ করুন। অন্যথায় জনতার আদালতে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ এম এ আজিজ সহ ইতিপূর্বে চট্টগ্রামে গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।