সমাজের অবক্ষয় রোধে তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি আজ রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ‘শিক্ষাবর্ষ সমারম্ভ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আজকে সমাজে যে অবক্ষয়, যে অবস্থা বিরাজ করছে-এগুলোকে ভাঙতে হলে তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আজকে আমরা যারা আছি তারা যদি সমাজের জন্য, দেশের জন্য, জাতির জন্য একটু ত্যাগ স্বীকার করি-তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করবে। তারা সুন্দর ভবিষ্যৎ পাবে। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু মুখস্থ বিদ্যা বা মুখস্থ পড়ালেখা শেখার জন্য নয়। মানবিক গুণাবলী অর্জন করার জন্যই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে শিক্ষার্থীরা শিষ্টাচার শিখবে, বিনয়ী হতে শিখবে।
সিভাসু অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত সমারম্ভ অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা ভালোভাবে পড়ালেখা করে নিজেদেরকে আধুনিক বিশে^র চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যোগ্য ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে গড়ে তুলবে। শিক্ষা ও গবেষণার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সিভাসু’তে রয়েছে।
সমারম্ভ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি, প্রাবন্ধিক ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক আবুল মোমেন। নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা গণ্ডিবদ্ধ জীবন থেকে মুক্ত জীবনে এসেছ। তোমাদেরকে সংকীর্ণ চিন্তাভাবনা, মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মুক্ত মনের অধিকারী হতে হবে। তোমাদের চিন্তাভাবনা হবে বৈশ্বি।
সমারম্ভ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম। সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) ড. সুব্রত কুমার শীল।