সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুই ঘন্টার ব্যবধানে দুইটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার সময় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শীতলপুর এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মোঃ আলমগীর (৩৬) নামে এক কুলিং কর্ণার ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ২নং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের লালানগর গ্রামে মামাতো ভাইয়ের হাতে খুন হন নুর মোস্তফা বজল (৫৮)। নামে এক বিএনপি নেতা। তিনি ওই এলাকার পশ্চিম লালনগরের গ্রামের মুজিবুল হকের পুত্র।
নিহত বজল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বড় ভাই ও ২ নং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন বিএন পির সহ সভাপতি ছিলেন।
এদিকে রাতে দোকান বন্ধ করে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা মোঃ আলমগীরকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুত্বর আহতাবস্থায় অন্ধকারে পড়ে থাকার বেশ কিছুক্ষন পর স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ভাটিয়ারী বিএসবিএ হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি সোনাইছড়ি ইউনিয়নের গামারীতলা গ্রামের হাসেম মাস্টার বাড়ির আফাজউল্লার ছেলে। নিজ বাড়ীর পিছনে পুকুর পাড়ে অন্ধকার নির্জন স্থানে তাকে হত্যা করে ফেলে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে নিহত আলমগীর এক বছর আগে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসে। এর পর প্রথমে নিজ এলাকা গামারী তলায় মসজিদের পাশে একটি মুদির দোকার দেয়। মাত্র ৩ মাস আগে সে বিয়ে করে। বিয়ের পর পার্শ্ববর্তি শীতলপুর চৌধুরীঘাটা এলাকায় কুলিং করার দেয়। রাত ৯টার দিকে সে দোকার বন্ধ করে গ্রামের পথ দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে হত্যাকাণ্ডে শিকার হয়। তবে কে বা কারা কি কারণে আলমগীরকে হত্যা করা হয়েছে তা এলাকাবাসী বুঝতে পারছে না।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন দুই হত্যাকাণ্ডে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে মামাতো ভাইয়ের হাতে খুন হন ফুফাতো ভাই। তৌহিদ একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন ধরনের ১৮টি মামলা রয়েছে। তাকে আটকের অভিযান চলছে। অপর দিকে শীতলপুর এলাকায় এক চা দোকানী দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।