দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় চট্টগ্রামের ১৫টি সংসদীয় আসনে টহল শুরু করেছে ৯৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য। তবে শুধু উপকূলীয় এলাকা বিজিবির বদলে টহলের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে কোস্টগার্ড।
আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোররাত থেকে সন্দ্বীপে কোস্টগার্ড এবং শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে টহল শুরু করেছে বিজিবি।
এদিকে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম রিজিয়নে ১৭৭ প্লাটুন বিজিবি’র সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। বিজিবি’র মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনে ভোট গণনার সময়ও যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় সেখানেও আমাদের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে।
জানা গেছে, সন্দ্বীপ ছাড়া বাকি ১৫টি আসনে বিজিবি ছাড়াও র্যাবের ৩২টি টহল টিম এবং সঙ্গে একটি করে গোয়েন্দা টিমও মাঠে নেমেছে। তারা নির্বাচনী এলাকাগুলোতে টহল দিচ্ছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান জানান, আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে সেনাবাহিনীও মাঠে নামবে। সন্দ্বীপে দায়িত্ব পালন করবে কোস্টগার্ড। স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
বিজিবি-৮ ব্যাটালিয়ের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে এসব বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ১১টি আসনে মোতায়েন করা হয়েছে ৭৪ প্লাটুন বিজিবি। আর এ আসনগুলো বাদে বাকি চার আসনে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের আরও ২২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।