মাথা ব্যথা হলেই সমাধান হিসেবে আমরা ঘরে থাকা প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলি। এসব ওষুধ খেয়ে নিই নিজের বুদ্ধিতে। কিন্তু ব্যথা চরম পর্যায় না যাওয়া পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি না, ঠিক কী কারণে ব্যথা হচ্ছে? মাথা ব্যথা হলে এর লক্ষণ বলে দিতে পারে কোন কারণে ব্যথার সূত্রপাত।
তাহলে জেনে নিতে পারি মাথা ব্যথার কারণ সম্পর্কে-
১. মাইগ্রেন: এই ব্যথা মাথার যে কোনো একটা দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়। তাই একে আধ-কপালি ব্যথাও বলে অনেকে। মাইগ্রেনের ব্যথা দপদপ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে সেই ব্যথা পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া চোখের চারপাশেও ব্যথা হতে পারে।
২. টেনশন: দুশ্চিন্তার কারণে মাথাব্যথা হলে পুরো মাথা জুড়ে হয়। মনে হবে, যেন কেউ মাথাটা চেপে ধরে আছে। ভারী ভারী লাগবে।
৩. ক্লাস্টার হেডেক: দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় বা বছরের নির্দিষ্ট একটা সময় এই ব্যথা হয়। চোখের পিছনের দিক থেকে মাথার একটি দিক বরাবর যন্ত্রণা হয়।
৪. মাথার ভিতরে রক্তপাত হলে: মাথার পিছন দিক থেকে শুরু হয়ে ঘাড় পর্যন্ত প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
৫. ব্রেন ইনফেকশন হলে পুরো মাথাজুড়ে যন্ত্রণা হয়। সঙ্গে ঘাড়েও ব্যথা হয়।
৬. চোখের পাওয়ার বাড়লে চোখের চারপাশে ব্যথা করে। মাথাতেও ব্যথা চলে আসে।
৭. ব্রেন টিউমার হলে মাথার ডান পাশে টেম্পোরাল লোবে টিউমার হলে সেই অংশে ব্যথা হয়। এরকমই যে দিকে টিউমার হয় সেই দিকে ব্যথা হয়। টিউমার ছোট থাকলে ব্যথা হয় না। আকারে অনেকটা বড় হলে তবেই হয় যন্ত্রণা।
মাথা ব্যথা কমাতে সমাধান কী?
মাথাব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল ইত্যাদি সেবন করা যেতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধের সঙ্গে অবশ্যই পেপটিক আলসাররোধী ওষুধ খেতে হবে। তবে খুব প্রয়োজন না হলে ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
১. মাথাব্যথা হোক বা না হোক পর্যাপ্ত পানি পান করুন, কখনো খালি পেটে থাকবেন না। মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দা থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিন। হালকা শরীরচর্চা করুন।
২. রগের দুটো পাশ ও ঘাড়ের কাছে যদি খানিক ক্ষণের জন্য আঙুলের ডগা দিয়ে ম্যাসাজ করেন, তবে আরাম পাবেন ও ক্লান্তি দূর হবে। ক্লান্তির কারণে মাথা ধরলে এই ম্যাসাজ খুব উপকারী।
৩. অতিরিক্ত আলোর কারণে অনেক সময় মাথাব্যথা হয়ে থাকে। তাই মাথা যন্ত্রণা করলে ঘরের আলো কমিয়ে দিন।
৪. বেশি বেশি মাথা ব্যথা এবং অসহনীয় ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।