আজকাল বিয়েতে বরপক্ষ সাধারণত বাহন হিসেবে বাস, মাইক্রোবাস, ঘোড়া, হাতি, গরুর গাড়ি বা পালকি নিয়ে যায়। তবে এবার ঘটেছে অন্য এক ঘটনা। বরের গাড়ি হিসেবে ট্রেনকে বেছে নিয়েছে বরপক্ষ। বলছিলাম পাবনার ফরিদপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান মাছুমের বিয়ের কথা। মাছুম চাকরি করেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে।
জানা গেছে, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার রামনগর গ্রামের আনিসুর রহমান ও আয়েশা রহমান দম্পতির পঞ্চম সন্তান মিজানুর রহমান মাছুম। তিনি চাকরি করেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে। পরিবারের পছন্দ মতো বিয়ে করছেন ঢাকার শনির আখড়ায়। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে পাবনা থেকে ঢাকায় বরযাত্রী হিসেবে আসেন মাছুম ও তার আত্মীয়স্বজন।
বর মিজানুর রহমান বলেন, আমরা সকাল নয়টায় পাবনা থেকে রওয়ানা করেছি। পূর্ব কোনো পরিকল্পনা ছিল না যে ট্রেনে করে বিয়ে করতে যাব। আমার সঙ্গে আমার বড় ভাই, বন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এসেছে। পরিবারের পছন্দে বিয়ে করছি, আমরা আবার কনেসহ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে পাবনার উদ্দেশে রওয়ানা করব।
বরের চাচা আব্দুর রব বলেন, বাস ও প্রাইভেটকারের চেয়ে ট্রেনের যাত্রা নিরাপদ হওয়ায় আমরা ট্রেন বেছে নিয়েছি। এতে আমরা যারা এসেছি সবাই খুব আরামে আসতে পেরেছি। কারো কোনো অসুবিধা হয়নি, সবাই স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
বরের বড় ভাই মনির হোসেন বলেন, আমরা পাবনার বুনাইনগর ফরিদপুর থেকে এসেছি। ট্রেন যাত্রা আমাদের ভালো লাগে, আমরা দুইটা কেবিন ও পাশে সিট নিয়ে এসেছি। আমার ছোট ভাই রেলওয়েতে চাকরি করে। আমরা আবার ছোট ভাইয়ের বউকে নিয়ে ট্রেনে ফিরে যাব পাবনায়।
বরের বন্ধু সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি প্রবাসে থাকার কারণে বিভিন্ন বন্ধুর বিয়েতে অংশ নিতে পারিনি। এখন বন্ধু মাছুমের বিয়েতে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। এছাড়া বেশ কিছু বিয়েতে অংশ নিলেও ট্রেনে চড়ে বিয়ের বরযাত্রী হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রথম। সবমিলিয়ে ভালো লাগছে আমি খুবই আনন্দিত।