পাহাড়ি ঢল ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে গাইবান্ধা জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে এই চারটি উপজেলার ২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পানি বৃদ্ধি পেলে আরও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
শহীদুল ইসলাম বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর চারপাশে পানি ঢুকে পড়েছে। তাছাড়া কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠও পানিতে তলিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার থেকে ২৯টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার পানি কমলে বিদ্যালয়গুলোতে আবারও পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, পানি বাড়ার ফলে এই চার উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের অন্তত ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বসতবাড়ি ছেড়ে উচু জায়গা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্গতদের জন্য ১৮১টি স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতের জন্য নগদ টাকা, শুকনা খাবার ও জিআর চাল বিতরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।