সারাদেশে প্রচণ্ড গরমের পর কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর সব জায়গাই বর্ষার পানিতে ভিজে আছে। আর এমন আবহাওয়াতে ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস আরো বেশি জেগে ওঠে। আবার বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি-ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠে। তবে এই বৃষ্টির দিনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জামাকাপড় শুকোনো।
ভেজা আবহাওয়ায় জামাকাপড় সহজে শুকাতে চায় না। আবার ভেজা জামাকাপড়ে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় সকাল ধুয়ে দেওয়া জামাকাপড় সন্ধ্যা পর্যন্তও শুকায় না। তাই বলে তো আর বৃষ্টির দিনে ময়লা জামাকাপড় জমিয়ে রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে ভেজা জামাকাপড় দ্রুত শুকোনোর সহজ কিছু কৌশল আছে। আপনি চাইলে সেসব জেনে নিতে পারেন। এতে বৃষ্টির দিনে খুবই সুবিধা হবে। চলুন সেসব জেনে নেওয়া যাক:
১. জামাকাপড় কাচার পরে খুব ভালোভাবে পানি ঝরাতে হবে। হাতে কাচুন বা ওয়াশিং মেশিনে, ভালো করে পানি ঝরিয়ে না নিলে সহজে শুকাবে না। সিনথেটিক পোশাক হলেও তাই করতে হবে। ভেজা চুপচুপে জামা ক্লিপ দিয়ে আটকে দেবেন না।
২. ভেজা জামা একটির উপর আর একটি শুকাতে দেবেন না। জায়গার অভাবে অনেকেই এমন করেন। প্রতিটি জামা আলাদা আলাদা করে ছড়িয়ে মেলুন। এতে দ্রুত শুকাবে।
৩. ভেজা জামা দ্রুত শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এটির ‘ওয়ার্ম মোড’ চালু করে ভেজা পোশাকের থেকে অন্তত ৬-৭ ইঞ্চি দূরে রাখলে, কাপড় থেকে তাড়াতাড়ি পানি শুষে নেবে।
৪. বাইরে শুকাতে দেওয়ার সুযোগ না থাকলে, ঘরে জোরে পাখা চালিয়ে তার সামনে বেজা জামাকাপড় মেলে দিন। যদি ঘরে হিটারের ব্যবস্থা থাকে তাহলে ভেজা জামা দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
৫. ধরুন, হাতে একদম সময় নেই। খুব তাড়াতাড়ি জামা শুকাতে হবে। তাহলে আধ ভেজা জামা একটি তোয়ালের উপর রেখে পরিপাটি করে পেঁচিয়ে দিন। তারপর তোয়ালের উপর দিয়ে ইস্ত্রি চালান। ধীরে ধীরে ইস্ত্রি করুন। দেখবেন, এতে পোশাকের অতিরিক্ত পানি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
৬. শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে ‘ড্রাই মোড’ বলে একটি অপশন আছে। সেটিও কাজে লাগাতে পারেন। ঘরে জামাগুলো মেলে যন্ত্রের ‘ড্রাই মোড’ চালু করে দিন। এতেও কাপড় তাড়াতাড়ি শুকাবে।