Search
Close this search box.

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ওয়ানটাইম কাপে চা-কফি পান কতটা স্বাস্থ্যকর

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

চা-কফি বাঙালি জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের অনেকেরই সারাদিনে কাজের ফাঁকে কয়েক কাপ চা পান করার অভ্যাস আছে। বাড়িতে থাকলে বাড়ির কাপেই খাওয়া হয়। তবে অফিসে গেলে কাজের ফাঁকে চায়ের দোকানেই ঢুঁ মারতে হয় বার বার। আর সেখানে নিয়মিত প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম কাপে চা খাওয়া চলে। তবে অধিকাংশ দোকানে কাঁচের কাপে চা সরবরাহ করা হয়।

কিন্তু, সেগুলো ভালো করে গরম পানি দিয়ে ধোয়া হয় না বা একই কাপ প্রতিদিন অনেকে ব্যবহার করেন। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে অনেকে প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম কাপে চা পান করে থাকেন। কিন্তু তাতে যে বিপদ আরো বেশি, তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

বর্তমানে সারা বিশ্বে ওয়ানটাইম ব্যবহার উপযোগী প্লাস্টিক কাপের ব্যবহার সর্বত্র। ছোট টং দোকান থেকে শুরু করে অফিস, রেস্টুরেন্টসহ নানা জায়গায় পানীয় পরিবেশনে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে কোভিট-১৯ মহামারীর সময় থেকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় চা, কফি, কোমল পানীয়, লাচ্ছিসহ দুধের তৈরি বিভিন্ন পানীয় পলিস্টাইরিন প্লাস্টিকের তৈরি একবার ব্যবহারে উপযোগী কাপগুলোতে পরিবেশন আরো বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে।

তবে আপনি যদি নিয়মিত ওয়ান টাইম কাপে এসব পানীয় খান তাহলে চিন্তার বিষয়। কারণ বেশিরভাগ ওয়ানটাইম কাপ প্লাস্টিকের হয়ে থাকে। আর এর কণা ছড়িয়ে পড়েছে সব জায়গায়। এমনকি খাবারের মাধ্যমেও প্লাস্টিক কণা ঢুকে পড়তে পারে আমাদের শরীরে। তাই প্রত্যেকের প্লাস্টিকজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। দৈনন্দিন জীবনে ছোটখাটো কিছু বিষয় মেনে চলার মাধ্যমে এ ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।

ওয়ান টাইম কাপ কি স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ

প্লাস্টিকের কাপ আমাদের শরীরের ক্ষতি ডেকে আনে। এই কাপ তৈরি করতে মাইক্রোপ্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। আবার কাগজের তৈরি কাপেও মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। কাপে যখন গরম চা ঢালা হয়, তখন সেই তাপে প্লাস্টিক গলে চায়ে মিশে যায়।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, এক একটি কাপে প্রায় ২৫ হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে। কাপে গরম চা ঢাললে খুব অল্প সময়ে এই প্লাস্টিক গলে চায়ে মিশে যায়। দিনে যারা অন্তত চার-পাঁচবার এই কাপে চা খান, তাদের শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।

প্লাস্টিকের কণার প্রভাব

প্লাস্টিক কণার প্রভাবে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মানবদেহ। হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হরমোনের সমস্যা হতে পারে এ থেকে। শিশুদের বিকাশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি গর্ভের শিশুও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সন্তান ধারণক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণও হতে পারে প্লাস্টিক কণা। তবে রোজকার জীবনে টেকসই, পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করলে এবং প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সীমিত করে ফেলতে পারলে অনেকটাই নিরাপদ থাকা সম্ভব।

প্লাস্টিকের কণার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে

বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশে প্লাস্টিক বহু বছর ধরে রয়ে যায়। ফলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। আর মাটি বা পানিতে রয়ে যাওয়া প্লাস্টিকের প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যের ওপর। বাস্তুতন্ত্রের ওপর এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব না হলেও অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। যতটুকু ব্যবহার না করলেই নয়, প্লাস্টিকের ব্যবহার ততটুকুতেই সীমিত রাখতে চেষ্টা করুন। ব্যবহার করতে হলেও ভালো মানের প্লাস্টিক বেছে নিন। মেনে চলুন এর ব্যবহারবিধি। আর খুঁজে নিন পরিবেশবান্ধব বিকল্প। দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক:

শিশুদের ক্ষেত্রে

১. শিশুর জন্য প্লাস্টিকের বোতল বেছে নেবেন না। নিতান্তই প্লাস্টিক ব্যবহার করতে হলেও তাতে গরম দুধ ঢালবেন না। গরম পানিতে প্লাস্টিকের বোতল পরিষ্কার করা হলে এরপর আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে তা ধুয়ে নিন।

২. ডায়াপারের ব্যবহার সীমিত রাখুন। প্রয়োজনে কাপড়ের ডায়াপার বেছে নিন।

৩. ওয়াইপের বদলে সুতি, নরম কাপড় বেছে নিন।

৪. প্লাস্টিকের খেলনা এড়িয়ে চলা ভালো। বিশেষ করে শিশু যেসব খেলনা মুখে দিতে পারে, সেগুলো যাতে প্লাস্টিকের না হয়।

খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্লাস্টিক কণার প্রবেশ যেভাবে রোধ করবেন

১. প্লাস্টিকের পাত্রে বা প্যাকেটে খাবার না রাখাই ভালো। খুব বেশি প্রয়োজন হলে ‘ফুড গ্রেড’ প্লাস্টিকের বাটি বেছে নিন।

২. প্লাস্টিকের পাত্রে পানি রাখবেন না। কাচের বোতল ব্যবহার করুন। কিংবা এমন বোতল ব্যবহার করুন, যার ভেতরটা ধাতব উপকরণে তৈরি। বিশেষ করে যখন আপনি রোদে যাচ্ছেন, তখন এ বিষয়টি খেয়াল রাখুন।

৩. নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া প্লাস্টিকের গ্লাস ব্যবহার করবেন না। তরল গ্রহণের জন্য প্রচলিত ‘স্ট্র’ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বাঁশের তৈরি ‘ওয়ান টাইম’ চামচ, কাঁটাচামচ, প্লেট, গ্লাস প্রভৃতি ব্যবহার করতে পারেন।

৪. রেস্তোরাঁয় গিয়েও আগেই বলে দিন, প্লাস্টিকের কোনো পণ্য যাতে আপনাকে না দেওয়া হয়।

৫. প্লাস্টিকের পাত্রে কখনোই গরম খাবার বা গরম পানি রাখবেন না। এসব পাত্র ওভেনে দেবেন না। ‘ওয়ান টাইম কাপ বা গ্লাসে’ চা-কফি খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। গরম তরল নাড়াচাড়া করতে প্লাস্টিকের চামচ ব্যবহার করবেন না। বাইরে গেলেও প্রয়োজনে এগুলোর বিকল্প নিজের কাছে রাখতে পারেন।

৬. রান্নাঘরে প্লাস্টিকের কৌটা ও চামচ না রাখাই ভালো। চপিং বোর্ড, বেকিং ট্রে এবং বেকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ছাঁচ যাতে প্লাস্টিকজাতীয় পণ্যের না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৭. বাজারে যাওয়ার সময় নিজেই একাধিক টেকসই ব্যাগ সঙ্গে রাখুন। বিক্রেতাকে প্লাস্টিক বা পলিথিন ব্যাগ দিতে নিষেধ করে দিন।

৯. স্যান্ডউইচের মতো কোনো খাবার মুড়িয়ে নিতে মোমের পরত (বিস ওয়াক্স র‍্যাপ) কাজে লাগান।

সর্বশেষ

খাগড়াছড়িতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, দোকান-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামের ছাত্র জনতার সমাবেশে একে-৪৭ এর গুলি চালানো সন্ত্রাসী বাদশা আটক

চট্টগ্রামে বিএনপির নেতার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন প্রতিনিধি দলের বৈঠক

ঢাবির হলে গণপিটুনিতে হত্যা মামলায় ৩ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নামঃ শাবনূর

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print