আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর থেকে চসিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা ও চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম গত ৯দিন ধরে নিজ কার্যালয়ে আসছেন না। এমন কি তিনি তাঁর বাড়ীতে নেই। বন্ধ রয়েছে তাঁর মোবাইল ফোনও। এমনকি মেয়র কোথায় অবস্থান করছেন কিংবা কবে নাগাদ অফিস শুরু করবেন তার তথ্যও জানা নেই চসিক কর্মকর্তাদের। তাঁরা নিয়মিত অফিস করলেও ‘কাজকর্ম’ আটকে গেছে তাঁর অনুপস্থিতিতে। তবে দৈনন্দিন কার্যক্রম চলছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের দুদিন আগে অর্থাৎ ৩ আগস্ট চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর সরকার পতনের পর থেকেই তিনি পালিয়ে যান। ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানান মেয়রের ঘনিষ্ট্যরা। তবে মেয়রের অনুপস্থিতে চসিকের দৈনন্দিন কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে না প্রকাশে অনিচ্ছুক চসিকের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অফিস খোলার প্রথম দিন কয়েকজন ছাড়া আর কেউই আসেনি। তবে পরদিন (বুধবার) থেকে সবাই নিয়মিত অফিস শুরু করেছে। মেয়রের বাসায় হামলা হয়েছে আবার আমাদের অনেকগুলো সাইট থেকে মালামাল (রড,বালি, সিমেন্ট) লুটপাট ভাংচুরও হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মনে হয় না মেয়র আসবেন অফিসে।’
মেয়রের অনুপস্থিতিতে কী ধরনের অসুবিধা তৈরি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে চসিকের প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মেয়র স্যার না আসলে প্রকল্পের এস্টিমেট ফাইলে সাইন হবে না, টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে, নোয়া হবে না, কোনো ধরনের প্রকিউরমেন্ট করা যাবে না। তারচেয়ে বড় জরুরি কাজের ক্ষেত্রে মেয়রের এপ্রুভাল ছাড়া কোনো কাজ হবে না।’
একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। মোবাইলও বন্ধ আছে। কার্যালয়ে আসেননি। পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলে আশা করছি এ সপ্তাহের ভেতর স্যার অফিস করবেন।’
এসআইএস/