সুস্থ থাকতে সকালের খাবার খাওয়ার প্রতি জোড় দেন চিকিৎসকরা। তবে এমন অনেকেই আছেন যারা সকালে নাশতা হিসেবে কেবল কফি পান করেন। আবার অনেকে সকালের শুরু করেন কফি দিয়েই। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয় কফি। আর কফিপ্রেমীরা নিজেদের ইচ্ছা মত সময়ে এই পানীয়টি পান করেন। কেউ সকালে আবার কেউ বিকেলে, কিংবা সন্ধ্যায়। এমনি অনেকে রাতেও কফি পান করেন।
অন্যান্য খাবারের মত কফি পানেরও উপযুক্ত সময় আছে এটা অনেক কফিপ্রেমিক জানেন না। ফলস্বরূপ অনেক সময় নিজের অজান্তেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে কফি পানের উপযুক্ত কিছু সময় আছে যেসব না মানলে বিপদ। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইট হেলথলাইনের প্রতিবেদনে কফি পানের আদর্শ সময় জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কফি আমাদের চাঙা করে, আর এই বৈশিষ্ট্যের কারণে আরও বেশি সচেতন হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, সাধারণত সন্ধ্যার পর তেমন কোনো কায়িক শ্রম বা ভারী কাজ করা হয় না। তাই কফি পানের ফলে তৈরি হওয়া বাড়তি শক্তি ব্যয় হয় না। আর বাড়তি এই শক্তি যদি কোনো কাজে ব্যয় না করা হয়, তবে শরীরে তৈরি হয় অস্থিরতা। রাতে ঘুম আসতে দেরি হয়। তাই সন্ধ্যা থেকে কফি এড়িয়ে চলুন।
আমাদের দেহের অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসল নামের এক হরমোন নিঃসরণ হয়। কর্টিসল কিছু শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেমন বিপাক, রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা, মানসিক চাপ ইত্যাদি। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে বলে এই হরমোনকে ‘স্ট্রেস হরমোন’ও বলে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কর্টিসল প্রাকৃতিকভাবে আপনাকে চাঙা রাখে। তাই সকালে কফির কাপে চুমুক দিলে তেমন কোনো উপকার পাওয়া যায় না।
দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পর শরীরে অলসতা লাগে। এ সময় একটু কোল্ড কফি খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। দুপুরের পর আধা কাপ কফি বাড়তি শক্তি যোগাবে। তবে যদি পূর্ণ এক কাপ বা তারও বেশি কফি খান এ সময়, তাহলে আবার রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই আধা কাপ কফি পানের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সারাদিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় অনেকে এক মগ কফি নিয়ে বসেন। এই অভ্যাস থাকলে পরিবর্তন করুন। বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় কফি পান করলে রাতে সহজে ঘুম আসবে না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পরদিন কর্মক্ষেত্রে আপনার কাজে।