সুন্দর মসৃণ ত্বক সবাই চায়। এ জন্য যত্নের কমতি করেন না অনেকেই। তবে সমস্যা হয় পিম্পল বা ব্রণ দেখা দিলে। একবার পিম্পল হলে যেন যেতেই চায় না। বিভিন্ন কারণেই আমাদের মুখে পিম্পল হয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে হরমোনের পরিবর্তন, প্রতিদিনের রুটিন, টেনশন। আর এই পিম্পল থেকে রেহাই পেতে কত কিছুই না আমরা করি কিন্তু ফলাফল কিছুই হয় না। কিছু সহজ উপায়ে সহজেই পিম্পল দূর করতে পারবেন। মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েব সাইট হেলথলাইনে কয়েকটা ঘরোয়া উপায় দেয়া হয়েছে।
অ্যালোভেরা: ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা খুব উপকারী। মূলত ঘৃতকুমারী গাছের পাতার ভেতরের যে জেলির মতো অংশ, তা থেকেই অ্যালোভেরা সংগ্রহ করা হয়। অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলো। এটা যেকোনো পিম্পল বা একনের জন্য খুব উপকারী। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক মসৃণ আর উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মুখের দাগ দূর করতেও অ্যালোভেরা খুব কাজ করে।
রসুন: পিম্পল সারাতে খুব কার্যকরী রসুন। ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলার পর রসুন ভেঙে তার রস লাগিয়ে নিতে হবে পিম্পলে। রসুনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পিম্পল সারাতে ভালো কাজ করে।
বরফ: শুধু ক্ষতস্থানেই নয়, পিম্পল দূর বরফ অনেক কার্যকর। নরম কাপড়ের ভেতরে বরফ মুড়িয়ে নিয়ে যে স্থানে পিম্পল রয়েছে, সেখানে ধরে রাখুন। যত দিন না মুখ থেকে পিম্পল পুরোপুরি দূর হচ্ছে এভাবে বরফ নিতে পারেন।
কমলার খোসা: এটা অনেকেই জানে না কমলার খোসা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এটা পিম্পল দূর করতেও কাজ করে। প্রথমে কমলার খোসা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর হালকা পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে পানি পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। এই পেস্ট একনে বা পিম্পল এর ওপর ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার নিতে হবে, নয়তো ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।
দুধ ও মধু: বিভিন্ন পেস্ট তৈরি করে মুখে নিতে পারেন যখন পিম্পল থাকবে। দুধ ও মধু দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন একটি প্যাক। ১ টেবিল চামচ মধু ও দুধ ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে নিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ভেতর থেকে ত্বক পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠবে পিম্পল ফ্রি।
বেকিং সোডা: প্রায় সব বাসাতেই বেকিং সোডা থাকে। পিম্পল কিন্তু ফেলনা নয়। ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা লেবুর রস দিয়ে গুলিয়ে পিম্পলের ওপরে দিয়ে দিন। ভালোভাবে মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা পিম্পল থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায়। তবে দীর্ঘ সময় পিম্পলের সমস্যা শরীরের অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে। পিম্পল যদি দীর্ঘসময় ধরে থাকে, তবে একজন দক্ষ স্কিন চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই ভালো। কোনো রোগ নিয়েই অপেক্ষা করার চেয়ে ভালো বড় কিছু হওয়ার আগে সমাধানের চেষ্টা করা।