বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকা পালনকারী চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানকে সহ দেশের ৩৫ জেলা প্রশাসক (ডিসি) দের প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযোগে চলতি সপ্তাহে ৩০ থেকে ৩৫ জেলার ডিসিদের (জেলা প্রশাসক) প্রত্যাহার করা হবে।
তবে বৈষম্যে শিকার কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবি সব বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলার ডিসি, পুলিশ সুপারসহ (এসপি) জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে হবে।
ফোরামের সম্বয়ক অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার শনিবার অফিসার্স ক্লাবে মতবিনিময় সভায় বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে সতায়তাকারী মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
বৈষম্যে শিকার কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবি, তারা দায়িত্বে থাকার সব যোগ্যতা হারিয়েছে। তারা রোববার থেকে সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করলে সরকারের তরফ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তারা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
জানা গেছে, ডিসি হিসাবে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের অনেকের মেয়াদ ৩ বছর ছুঁই ছুঁই। তাদের দ্রুত প্রত্যাহারের একটা আলোচনা আন্দোলনের আগে থেকেই চলছিল। আন্দোলনের ফলে এখন নতুন করে ডিসিদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। যারা বিগত আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন, তারা আগে প্রত্যাহার হবে।
প্রত্যাহারের তালিকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সিলেট, নরসিংদী ও বরিশালসহ ৩৫ জেলার ডিসি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যাহার হচ্ছে। পরবর্তীতে অন্য জেলার ডিসিরাও প্রত্যাহার হবে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমাবেশে গণহত্যার নির্দেশ ও আওয়ামী তোষামোদিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শতাধিক বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিক জনতার তোপের মুখে পড়েন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীকের সামনেই উপস্থিত শতাধিক সাংবাদিক জনতা ডিসিকে সরাসরি চোর, ডাকাত, দুর্নিতিবাজ ও খুনি হাসিনার দোসর এবং চট্টগ্রামে গণহত্যার মদতদানকারী হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। অবিলম্বে ডিসির অপসারণ দাবী জানিয়েছে উপদেষ্টা ও ছাত্র সমন্বয়কদের প্রতি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে ডিসি দ্রুত উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এর গাড়িতে উঠে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। উপদেষ্টা ও ছাত্র সমন্বয়কগণ ক্ষুদ্ধ সাংবাদিক জনতাকে ডিসির অপসারণ সংক্রান্তে অভিযোগটি বিবেচনায় নিবেন মর্মে আশ্বস্ত করেছেন।