তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়েছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, রাউজান ও হাটহাজারীর বেশির ভাগ এলাকা। ডুবে গেছে সড়ক, ফসলের জমি ও মাছের পুকুর। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজানের আঞ্চলিক সড়ক তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। এসব এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে কোথাও কোমরসমান, আবার কোথাও বুকসমান পানি উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের সব কটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ধুরং ও হালদা নদীতে পানির চাপ বাড়ায় কয়েকটি স্থানে ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ। ঘরবাড়িতে হাঁটু থেকে কোমর পরিমাণ পানি উঠেছে।
ফটিকছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, উপজেলার কমবেশি সব এলাকা প্লাবিত। প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ত্রাণসহায়তা দেয়া হবে। তার এলাকার বেশ কিছু মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাউজানের পশ্চিম নোয়াপাড়া, পালোয়ান পাড়া, মোকামীপাড়া, সাম মাহালদারপাড়া, ছামিদর কোয়াং, কচুখাইন, দক্ষিণ নোয়াপাড়া, মইশকরম, সওদাগরপাড়া, সুজারপাড়া, পূর্ব উরকিরচর, খলিফার ঘোনা, বৈইজ্জাখালি, বাগোয়ান, পশ্চিম গুজরা, গহিরা, নোয়াজিশপুর, চিকদাইর, ডাবুয়াসহ কয়েকটি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, রাউজানে নদীর পানি বেড়ে অনেক গ্রাম তলিয়ে গেছে। এর ফলে মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ক্ষতি হওয়ার খবর তাদের কাছে আসছে। সব স্কুল-কলেজ আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বরাদ্দ চাওয়া হবে।
হাটহাজারী উপজেলার বন্যায় প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে ফরহাদাবার, মান্দাকীনি, বুড়িশ্চর, শিকারপুর, গড়দোয়ারা, দক্ষিণ মাদার্শা, উত্তর মাদার্শা, মেখল, পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড, নাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী। হালদা নদীর পানি উপচে পড়ে তীরবর্তী এলাকার বাড়িঘর পানিতে ডুবে রয়েছে। ফরহাদাবাদ ও উত্তর মাদার্শায় দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে।