Search
Close this search box.

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

প্রভাবশালীদের আত্মসাৎ করা নামি-বেনামি ঋণের হিসাব হচ্ছে: ড. ইউনূস

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে কত টাকা ঋণ আত্মসাৎ করেছে তার হিসাব করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাত করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন, যার সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান রয়েছে। এই আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার উপরে মর্মে ধারণা করা যায় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ না করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে ইতোমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদগুলো পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে।

অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিচারের প্রতি সরকারের কঠোর মনোভাবের ইঙ্গিত করে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে বলা হয়, ব্যাংকসমূহের নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউই, সিআইডি ও দুদকের সহায়তা নিয়ে আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে সরকার।

শিগগিরই ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়, কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠনের জন্য ছয়মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সকল আর্ন্তজাতিক মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্যে সফল করতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়, আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে।

সর্বশেষ

‘আ. লীগ কখনোই বৈধ সরকার ছিল না, সন্ত্রাসী কায়দায় ক্ষমতা দখল করেছে তারা’

হাজার বছরেও শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়নিঃ মামুনুল হক

ঘুমের মধ্যেই নবাগত নায়িকার রহস্যজনক মৃত্যু

রাস্তার পাশে গাছে ঝুলছিল যুবকের রক্তমাখা শার্ট-গেঞ্জি, মরদেহ মিললো মর্গে

বেঁচে আছেন লাদেনের ছেলে হামজা!

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে শাফি মোদাচ্ছির গ্রেফতার

ভরা মৌসুমেও চট্টগ্রামে ইলিশের আকাল

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print