ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীসহ আটক তিনজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সরাইল ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজের উপস্থিতিতে তাদের আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে বিজিবি বাদী হয়ে আটকদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পাসপোর্ট আইনে মামলা করে।
এর আগে একই দিন ভোরে আখাউড়া সীমান্তের ভুনবন এলাকার ২০২২-৭ এস পিলারের আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করে ফকিরমুড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি লাল বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও নগদ টাকা ও মুঠোফোনসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় তাকে সহায়তার অভিযোগে আখাউড়ার নুরপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো. হান্নান মিয়া (৪৫) ছাড়াও মানব পাচারকারী মো. নাঈম চৌধুরীকেও (২২) আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম বিজিবিকে জানিয়েছেন, মানব পাচারকারী মো. নাঈম ভারতে প্রবেশ করিয়ে দেবে বলে তাকে মুঠোফোনে জানালে তিনি ঢাকা থেকে বাসযোগে আখাউড়ায় আসেন। পরে সাবেক মেম্বার হান্নান মিয়ার সহযোগিতায় নাঈমের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য অবৈধভাবে ভারতে যাচ্ছিলেন। তবে এমনটা করা তার ভুল ছিল বলেও বিজিবির কাছে স্বীকার করেন তিনি।
থানায় হস্তান্তরের বিষয়ে সরাইল ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, আটকদের সন্ধ্যায় আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সীমান্ত সুরক্ষায় এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিজিবির এই কর্মকর্তা।
এদিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে আটকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাসুদ।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে ফজলে করিম চৌধুরী আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও রাউজান থানায় একাধিক মামলা চলমান। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ফারাজ করিমের বাবা।