সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন, তা জানতে চায়নি সরকার। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সবকিছু আইন দিয়ে চলে না। অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দুই বছর থেকে আসছে। তাদের কি ৪৫ দিনের মধ্যে সব সুযোগ শেষ হয়ে গেছে, হয়নি। ভারত সরকার ওনাকে আশ্রয় দিয়েছেন, ওনি ওখানে থাকছেন। আমাদেরকে এটা এভাবে দেখতে হবে, দিনক্ষণ না গণে।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ভারতে থাকা নিয়ে আমরা অফিসিয়ালি কিছু জানি না। শুরুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা জানিয়েছেন, সেটিই জানি। তিনি খুব দ্রুত সময়ে আশ্রয় চেয়েছেন, তাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।’
গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগের পর থেকে ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। জানা গেছে, দিল্লির উপকণ্ঠে একটি আধাসামরিক বাহিনীর অতিথি নিবাস বা ‘সেফ হাউসে’ থাকছেন তারা। যদিও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুরুতেই দেশের পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনা ‘সাময়িকভাবে’ এ দেশে আসার অনুমোদন চেয়েছিলেন এবং তা মঞ্জুর হওয়ার পরই তিনি ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন।
শেখ হাসিনা ঠিক কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ ভারতে আছেন, সে ব্যাপারে রয়েছে ধোয়াশা। বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত ভারত সরকার সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে। অর্থাৎ তিনি কোনো বিশেষ ভিসায় ভারতে অবস্থান করছেন, না কি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে– এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকার এখনো পর্যন্ত কিছু জানায়নি। এই কারণেই প্রশ্ন উঠছে, ভারতে এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার অবস্থানের বৈধতাটা ঠিক কী এবং সেই স্ট্যাটাস কতদিন পর্যন্ত বৈধ থাকতে পারে?