Search
Close this search box.

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

অল্প বৃষ্টিতেই পাবনা শহরে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে পৌরবাসী

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভারী বর্ষণে পাবনা পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ড্রেনের ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দ্রুত পানি বের হতে পারছে না। ফলে ড্রেন উপচে পানি উঠেছে সড়কে, বাসা বাড়িতে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীসহ পথচারীদের।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত শুক্রবার থেকে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চারদিনে পাবনা জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২২৩ মিলিমিটার। অবিরাম বর্ষণে পাবনা পৌরসভা এলাকা পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। একটু বৃষ্টিতেই ড্রেন উপচে পানি উঠে যায় সড়কে। এ সময় ঝুঁকি আর দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলাচল করে যানবাহন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর এমন চিত্র দেখা যায় পাবনা পৌর সদরের শিবরামপুর মহিষের ডিপো এলাকায়। শুধু এই এলাকাই নয়। একটু বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় কালাচাঁদপাড়া, শালগাড়ীয়া, আটুয়া মোড়, বেলতলা রোড, গোপালপুর, দিলালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর, দোহারপাড়া, শালগাড়িয়া, কুঠিপাড়া, রাধানগর, মক্তব মোড়, যুগীপাড়া, মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা।

ভারী বর্ষণে পাবনা পৌর সদরের এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ড্রেনের ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দ্রুত পানি বের হতে পারছে না। ফলে ড্রেন উপচে পানি উঠেছে সড়কে, বাসা বাড়িতে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পৌরবাসীসহ পথচারীরা। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

শালগাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা হিমেল রানা বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার না করায় পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। একটু বৃষ্টিতেই পানিতে ডুবে যায় রাস্তাঘাট। বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে। যদিও দুই তিনদিনের মধ্যে পানি আবার নেমে যায়। কিন্তু এতেই দুর্ভোগের শেষ থাকে না মানুষের।

মুজাহিদ ক্লাব এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তো হয়ই, বাইরে বের হতে পারেনা মানুষ। দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। বেচাকেনা বন্ধ থাকে। এ কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না।

অটোরিকশাচালক সোহেল মিয়া বলেন, বৃষ্টিতে সড়ক ডুবে যায়। গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। কোথায় গর্ত ভাঙাচোরা কিছুই দেখা যায়। এজন্য দুর্ঘটনাও ঘটে।

পাবনার লতিফ গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার অচিন্ত কুমার ঘোষ বলেন, ’পাবনা পৌর এলাকার সব পানি নিষ্কাশন হয় মূলত দোহারপাড়া ও আরিফপুর সংলগ্ন বুড়িদাহ কালভার্টের নিচের খাল দিয়ে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের ওই খালটি দখল দূষণে সরু হয়ে যাওয়ায় পানি দ্রুত গতিতে বের হতে পারছে না। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল দখলমুক্ত ও খনন করে প্রসার করতে হবে। এজন্য পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এ বিষয়ে পাবনা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ন্যায্যমূল্য হক বলেন, ‘ড্রেনের মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে মাটি জমে উঁচু হয়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে পানি বের হতে পারে না। আমরা চেষ্টা করি সবসময় পরিষ্কার রাখার। তারপরও কিছু ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার ও কিছু ড্রেন নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। পৌরবাসীকেও সচেতন হতে হবে, যেন সব ময়লা ড্রেনে ফেলা না হয়।’

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ‘সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ইছামতি নদী ও সংযোগ খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলছে। ইছামতি নদী ও তার সাথে সংযুক্ত খালগুলো খনন শেষ হলে পাবনা জেলায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। ২০২৭ সালের জুনে এই খনন প্রকল্প শেষ হবার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।’

সর্বশেষ

অল্প বৃষ্টিতেই পাবনা শহরে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে পৌরবাসী

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভা আজ

যান্ত্রিক ত্রুটিতে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বন্ধ মেট্রোরেল চলাচল

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মানিক-সালমান-পলক-মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার: সেনাবাহিনী কী কী করতে পারবে

রাতে শত চেষ্টাতেও ভালো ঘুম হয় না? সতর্ক করে যা বললেন ঘুম বিশেষজ্ঞ

গভীর রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় তল্লাশি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print