২০০৭ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যত নেতা-কর্মী বিরুদ্ধে মিথ্যা, গায়েবী ও বানোয়াট মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দিবে বিএনপি। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়াও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২ বছরের শাসনামল এবং পতিত স্বৈরাচারের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলসহ প্রায় ১৮ বছরে সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে যেসব মামলা হয়েছে, সে বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা কমিটিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক একটি তালিকা প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় গৃহীত অপর এক সিদ্ধান্তে বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ ও মনিটরিংয়ের জন্য দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি শিল্পে বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করবে।
সভার শুরুতেই গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মহাসচিব সভাকে অবহিত করেন।
মঙ্গলবার বিএনপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়েছে, সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির ওই সভায় রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা সম্পর্কে জনগণকে জানানো ও সম্প্রচারের জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন আহমেদ কমিটির গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এ সভায় উপস্থাপন করলে, এ সভা তা অনুমোদন করে দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এ সভায়, জন প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন’র পুনঃগঠন বিষয়ে আলোচনা হয়। উক্ত বিষয় গুলোর উপরে গঠিত কমিটিগুলোকে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়।
রাজধানীর গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।