ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ দাবি করেছেন, কবি জসীমউদ্দীন হল ও সমাজকল্যাণ ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগের কোনো পদ-পদবীর জন্য কখনও কাউকে সিভি দেননি। আর ছাত্রলীগ হিসেবে নিজেকে কোনো মাধ্যমে পরিচয়ও দেননি। হল বা ডিপার্টমেন্টের কমিটিতে কাকে রাখা হবে সেটা সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি করেন।
ছাত্রলীগের সাথে তাকে কেন জড়ানো হচ্ছে বিবৃতিতে সে প্রশ্ন তুলেন এস এম ফরহাদ। বলেন, যেখানে আমি তাদের কার্যক্রমের সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে অতীতের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। আমাকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়ানোর বিষয়টিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের স্পিরিট নষ্ট করার একটি অপচেষ্টা বলে আমি মনে করি। হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ও ডিপার্টমেন্ট ডিবেটিং ক্লাবের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ডিবেটের বিভিন্ন আয়োজনে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আমার উপস্থিত থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। এগুলোর সবগুলোই ছিল ডিবেট ক্লাব সংশ্লিষ্ট আয়োজন। কোনো রাজনৈতিক আয়োজন নয়।
ঢাবি ছাত্রলীগের সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকতের সঙ্গে এস এম ফরহাদ।
প্রসঙ্গত, সভাপতির পরিচয় প্রকাশের পর তুমুল আলোচনার মধ্যে গতকাল রোববার সামনে আসে ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকের পরিচয়৷ সংগঠনটির ঢাবি শাখার বর্তমান কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এস এম ফরহাদ। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলে। তিনি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে কবি জসীমউদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের কমিটিতে এস এম ফরহাদের নাম
তার নতুন রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আসার পর নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে তার আরও একটি পরিচয় সামনে এসেছে। এস এম ফরহাদ ছাত্রলীগেরও পদধারী ছিলেন। ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ। এ নিয়ে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে।