লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ হত্যায় ইসরায়েল এফ-১৫আই ফাইটার জেট বিমান ব্যবহার করেছে। ইসরায়েলের বিমান ঘাঁটি ৬৯তম স্কয়ারড্রোন থেকে ওই বিমান উড্ডয়নের ছবি প্রকাশ করেছে আইডিএফ। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওই বিমান থেকেই হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। খবর টাইমস অব ইসরায়েল
ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৈরুতের উপশহর দাহিয়ে মাটির নিচে অবস্থিত হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরে হামলায় একাধিক ‘বাঙ্কার বাস্টার বোমা’ ব্যবহার করা হয়েছে।
‘গ্রাউন্ড পেনিট্রেশন মিইনিশন’ নামে পরিচিত এই ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের আগে মাটির গভীরে ঢুকে যায়। এ ক্ষেপণাস্ত্রের ভূগর্ভস্থ স্থাপনা এবং কঠিন কংক্রিট ভবন ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে।
‘বাঙ্কার-বাস্টার’ মাটির ৩০ মিটার গভীর বা ছয় মিটার কংক্রিট ভেদ করতে সক্ষম এবং শকওয়েভ তৈরির মাধ্যমে আশপাশের অন্যান্য কাঠামোও ধ্বংস করে দিতে পারে। এর প্রতিটির ওজন ২০০০ থেকে ৪০০০ পাউন্ডের মধ্যে।
যদিও জেনেভা কনভেনশন জনবহুল এবং নির্বিচারে হতাহতের ঝুঁকির কারণে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
এদিকে বৈরুতে বিমান হামলায় ইসরায়েল কী ধরনের বোমা ব্যবহার করছে, সে বিষয়ে জানতে আলজাজিরার পক্ষ থেকে সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইলিয়াস ম্যাগনিয়ার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল শুধু জিবিইউ-৩১ বা শুধু ‘স্পাইস ২০০০’ বোমা ব্যবহার করেছে অথবা দুটোই একসঙ্গে ব্যবহার করেছে।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ম্যাগনিয়ার বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই দুই ধরনের বোমাই সেখানে ফেলা হয়েছে, যার প্রভাব আমরা দেখতে পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল পুরোদমে হামলা শুরুর সপ্তাহ খানেক আগে লেবাননে পেজার এবং ওয়াকিটকিসহ নানা ধরনের তারহীন ডিভাইসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুটি আলাদা ঘটনায় হাজার হাজার পেজার এবং রেডিও ডিভাইস বিস্ফোরিত হওয়ায় কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।